ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মুসলিম সুইটস-ঘরোয়া হোটেল-প্রিন্স বাজারসহ ৩৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
মুসলিম সুইটস-ঘরোয়া হোটেল-প্রিন্স বাজারসহ ৩৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ঢাকা: মুসলিম সুইটস, ঘরোয়া হোটেল ও প্রিন্স বাজারসহ দেশজুড়ে ৩৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে তাদের এ জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

 

সোমবার (২০ জুন) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়।

 

বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগর, রংপুর, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ ও বরগুনায় বাজার তদারকিকালে এ জরিমানা করেছে।
 
এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর চকবাজার এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে রয়েল রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে রানা ভ্যারাইটিজ স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, বংশাল এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে ক্যাফে রাজধানীকে ১০ হাজার টাকা, নিউ ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ২২ হাজার টাকা, মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা, এশিয়া গার্ডেন রেস্তোরাঁকে ১৫ হাজার টাকা এবং আল ইমরান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
 
মহানগরীর রমনা ও পল্টন এলাকায় পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে মুসলিম সুইটসকে ৫ হাজার টাকা, অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে সিগালকে ১০ হাজার টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে দি সান রেস্টুরেন্টকে ৩ হাজার টাকা, বংশাল ও ওয়ারী এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে আরাফাত রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার টাকা, শাহ চন্দ্রপুরী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা, রওশন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকায় মেসার্স মোস্তফা স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকায় এবং বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অপরাধে আদাবর এলাকায় প্রিন্স বাজারকে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় দারুস সালাম ও শাহআলী এলাকার আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে।
 
এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়, পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ এবং ওজনে কারচুপিসহ নানা অপরাধে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ হাজার টাকা, নওগাঁ সদর উপজেলায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ২২ হাজার টাকা, রংপুর সদর উপজেলায় চারটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা এবং বরগুনার আমতলী উপজেলায় দু’টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
 
বাজার তদারকিকালে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও মহানগর পুলিশ, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি, মৎস্য কর্মকর্তা, ক্যাব, বিএসটিআই এর প্রতিনিধি, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি এ তদারকি কাজে সহায়তা করে।
 
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় গত ১৮ জুন এ অভিযান চালায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
এসএমএ/এসআরএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।