ঢাকাঃ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড মনিটরিং বিভাগের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। বিশেষ করে বাজারে মার্জিন লোন ও নিটিং সেলের বিষয়ে ডিএসইর সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড মনিটরিং টিমের রিপোর্টে অনিয়মের কোনো উল্লেখ না থাকায় এসইসি এই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে এসইসির সার্ভেইল্যান্স বিভাগ পুঁজিবাজারে নানা ধরনের অনিয়ম পাওয়া সত্ত্বেও ডিএসই‘র সার্ভেইল্যান্স বিভাগ তা শনাক্ত করতে পারছে না। ডিএসইর সার্ভেইল্যান্স বিভাগের কার্যক্রম আরো জোরদার করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ডিএসইকে এসইসির সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাজারে কারসাজি, অ্যাগ্রেসিভ লেনদেনের তথ্য, মার্জিন লোনের নিয়ম লঙ্ঘন, অথরাইজ রিপ্রেজেন্টিটিভদের কার্যক্রম, কোম্পাানির আর্থিক প্রতিবেদনে গড়মিল, ১৯৯৮সালের এসইসির বাজার রুলস লঙ্ঘন, শর্টসেল ভায়োলেশন, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বাণ্যিজ, নন সেটেলড ইস্যুসহ ১১টি বিষয়ে এসইসিকে প্রতি সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও সার্ভেল্যান্স বিভাগরে প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘এসইসি‘র সার্ভেইল্যান্স বিভাগ বাজারে নানা ধরনের অনিয়মের সন্ধান পেয়েছে। অথচ ডিএসই সার্ভেইল্যান্স বিভাগের রিপোর্টে তার কোনো উল্লেখই নেই। বিশেষ করে মার্জিন লোন ও নিটিংয়ে এসইসি নানা ধরনের অনিয়ম পেলেও ডিএসইর সার্ভেইল্যান্স বিভাগ তা শনাক্ত করতে পারছে না। ’
সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারের নিয়ম কানুন পালনের ব্যাপারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতি খুব একটা খুশি নয় এসইসি।
ডিএসইর সভাপতি মো. শাকিল রিজভী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে এ ব্যাপারে ভিন্নমত তুলে ধরে বলেন, ডিএসইর সার্ভেইল্যান্স বিভাগ বাজারের অনিয়ম রোধে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তারা ডন সিকিউরিরিজের অনিয়মসহ অনেক কিছু বের করতে সক্ষম হয়েছে। ডিএসইর সার্ভেল্যান্স বিভাগ কাজ করছে না এ অভিযোগ সত্যি নয়।
স্থানীয় সময়ঃ ১৯৩০ ঘন্টা ১১ আগস্ট ২০১০