ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টেক্সটেক এক্সপো

৮০ টাকায় ওয়াটারপ্রুফ জায়নামাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৬
৮০ টাকায় ওয়াটারপ্রুফ জায়নামাজ

ঢাকা: আকর্ষণীয় ডিজাইনে আরামদায়ক ওয়াটার প্রুপ জায়নামাজ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮০ টাকায়!

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১৭তম ‘টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৬’ প্রদর্শনীর জন্য পণ্যটি নিয়ে এসেছে চীনের একটি কোম্পানি।

সাংহাই ইন্টাল কো-অপ ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্টিন লিউ বাংলানিউজকে এ তথ্য জান‍ান।


 
লিউ বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে জায়নামাজ তৈরি করি। বিশ্বের বেশকিছু মুসলিম অধ্যুষিত দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে এই জায়নামাজ প্রথম নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিচে পলিস্টার আর ওপরে কারুকাজ করা বিভিন্ন ডিজাইনের এই জায়নামাজ ধুলাবালি, পানি কোনো কিছুতেই সহজে নষ্ট হবে না। অত্যন্ত মোলায়েম এই জায়নামাজ মাত্র ৮০ টাকায় আমদানি করা যাবে। সাথে সামান্য শুল্ক দিতে হবে। এত অল্প দাম ও বৈশিষ্ট্যের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন আমদানিকারক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
১ ঘণ্টায় ৫০০ পণ্যে প্রিন্ট!
১ ঘণ্টায় ৫০০ কলম, ক্রেস্ট, বোতল, আইডি কার্ডসহ বিভিন্ন পণ্যে বিভিন্ন ডিজাইনের প্রিন্ট ছাপ দেওয়া যাবে! জাপানের তৈরি মেকানিক ডিউক প্রিন্টার নামে এমন একটি প্রিন্টার এসেছে এক্সপোতে।
 
আমদানিকারক সিনট্রোনিক্স লিমিটেডের ম্যানেজার (মার্কেটিং) এইচএম আল বিরুনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রিন্টারটি একমাত্র আমরা গত কয়েক বছর ধরে আমদানি করছি।
 
প্রিন্টার সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমানে বোতল, কলম, গ্লাস, ক্রেস্ট, আইডি কার্ডসহ অনেক পণ্যের ওপর প্রিন্টের ছাপ দেওয়ার রীতি জনপ্রিয়। অল্প সময়ে এ প্রিন্টার থেকে প্রিন্ট করা যায়। এই প্রিন্টারের মতো কোনো কোম্পানি এখনো প্রিন্টার তৈরি করতে পারেনি। এর প্রোগ্রাম, পণ্য ঠিক করে বসানো থেকে শুরু করে মেশিনে অটো সব করে নেওয়া যায়। কাউকে হাত দিতে হয় না।
 
কোন যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দিলে নিজেই সিগন্যাল দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় প্রিন্টারটি। দ্রুত ও নিখুঁত প্রিন্টের জন্য এর সুখ্যাতি রয়েছে। ৪টি মডেলের এই প্রিন্টারের দাম ২০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মধ্যে।

এক্সপোর তৃতীয় দিনেও ভিড়

চার দিনব্যাপী ১৭তম ‘টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৬’ তৃতীয় দিনেও দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল ১০টার পর থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন।
 
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ায় অংশগ্রহণকারী কোম্পানির প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আন্তর্জাতিক আয়োজক সংস্থা কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লি. সেমস গ্লোবাল এক্সপোর আয়োজন করে।
 
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ২৩টি দেশের প্রায় ১০৫০টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। প্রদর্শনীগুলোতে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের যন্ত্রপাতি, সুতা, কাপড় উৎপাদক, মেশিনারিজ, ডায়েস এবং বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্যের বিশাল সমাহার রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৬
আরইউ/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।