ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চামড়ার দরে বিপাকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৬
চামড়ার দরে বিপাকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

ঢাকা: পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তা এলাকায় চামড়ার আড়তগুলোতে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে চামড়া আসতে শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে স্থায়ী ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া আনা শুরু করেন।

রাজধানীর পলাশীর মোড় থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দির হয়ে পোস্তা পর্যন্ত চামড়াবাহী রিকশা, ভ্যান, টেম্পু, পিক-আপ ও ট্রাকের জটলা বেধেছে। রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন ট্যানারি ও আড়তদাররা অস্থায়ী চামড়া ক্রয়কেন্দ্র খুলে বিক্রেতাদের কাছ থেকে চামড়া কিনছেন।

অন্য বছরের মতো এবারও চামড়া বিক্রেতারা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত মূল্যের চেয়ে কম দামে চামড়া কেনার অভিযোগ করছেন।

সবুজবাগ থেকে ৬০টি গরুর চামড়া নিয়ে এসেছেন আবু জাফর। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মহল্লা ঘুরে ঘুরে গড়ে ১ হাজার ৬শ’ টাকা দরে চামড়া কিনলেও পোস্তার ব্যবসায়ীরা ১ হাজার ১শ’ টাকার বেশি দাম বলছেন না। ফলে তিনি লোকসানে পড়েছেন।

একই অভিযোগ করছেন চামড়া বিক্রেতা মিরপুরের কাশেম, মহাখালীর ইসমাইল ও গেণ্ডারিয়ার কালাম।

তবে পোস্তার চামড়া ব্যাবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আফতাব খান বাংলানিউজকে বলেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দরে চামড়া কিনে আমাদের ওপর লোকসানের দায় চাপাচ্ছেন। আমরা এর চেয়ে বেশি দরে চামড়া কিনে ট্যানারি মালিকদের কাছে লোকস‍ান দিতে পারবো না।

তিনি বলেন, ৭শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা পর্যন্ত দরে চামড়া কিনছেন তারা।

সালমা ট্যানারির মালিক ও বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত উল্লা বাংলানিউজকে বলেন, ‘মৌসুমী ব্যবসায়ীদের আনা চামড়া আমাদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে কিনতে হচ্ছে। পশু কোরবানি দেওয়ার সময় বৃষ্টির কারণে অনেক চামড়া হাত পিছলে কেটে ফেলেছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ভেজা চামড়ায় পচনও ধরেছে। ফলে ১ হাজার ১শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকার বেশি দরে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৬
আরএম/জিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।