ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গ্রাম-ইউনিয়নে আড়াই লাখ করদাতা!

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬
গ্রাম-ইউনিয়নে আড়াই লাখ করদাতা!

ঢাকা: দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে করনেট। এ নেট সম্প্রসারণ ও সক্ষম করদাতার খোঁজে উপজেলার পর এবার গ্রাম ও ইউনিয়নে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।


 
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) ব্যবহার ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে প্রায় আড়াই লাখ করদাতা খুঁজে বের করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
 
জেলা প্রশাসকদের সহায়তা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবিষ্যতে ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক করদাতা খুঁজে পেতে চায় এনবিআর।
 
সম্প্রতি জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এনবিআরের পক্ষ থেকে এ সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে বলে এনবিআর সূত্র জানিয়েছে।
 
এনবিআরের হিসেব মতে, সারাদেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৪৭টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে।
 
তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে গ্রামের মানুষ ইউডিসিতে ১২টির বেশি সেবা পেয়ে খুশি। ইউডিসি’র মাধ্যমে ই-টিআইএন সেবা চালু করার পদক্ষেপ নিয়েছে এনবিআর।
 
এনবিআর সূত্র জানায়, কল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য শহর, জেলা, উপজেলা ছাড়িয়ে গ্রামেও হচ্ছে। তাই দিন দিন ইউনিয়ন ও গ্রামে সক্ষম করদাতা বেড়েই চলেছে।
 
কোন অংশেই শহর থেকে গ্রাম পিছিয়ে নেই। গ্রামের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এনবিআরের সক্ষম করদাতাদের শনাক্ত ও করনেটে আনতে পারছে না।
 
আগামী অর্থবছর থেকে বাস্তবায়িত হবে নতুন ‘মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’। দেশের গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত ব্যবসার ক্ষেত্র।
 
নতুন এ আইনে ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হবে ও ভ্যাট প্রদান করতে হবে। গ্রাম পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানকে ইউডিসি’র মাধ্যমে নিবন্ধনে আনা হবে।
 
সূত্র আরো জানায়, দেশের প্রতি ইউনিয়নে গড়ে ৫০ জনের অধিক করদাতা খুঁজে বের করা হবে। অনেক ইউনিয়নে এর কয়েকগুণ বেশি সক্ষম করদাতা রয়েছে।
 
এনবিআরের হিসেবে, ৫০ এর অধিক করদাতা শনাক্ত করতে পারলে বছরে গড়ে আড়াই লাখের অধিক নতুন করদাতা করজালের আওতায় আসবে।
 
এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সহযোগিতা নিতে চায় এনবিআর।
 
চেয়ারম্যানদের উদ্ধুদ্ধকরণে থাকবে সম্মাননা। করদাতাপূরণের টার্গেট পূরণ ও করসেবায় এনবিআরকে সহযোগিতায় তাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।
 
সূত্র আরো জানায়, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এনবিআরের প্রস্তাবে জেলা প্রশাসকরা সম্মতি দিয়েছেন। এর আগ থেকে কিছু কিছু জেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম জেলায় জেলা প্রশাসক ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্য জেলায় শিগগিরই এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করবে এনবিআর।
 
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, করনেট সম্প্রসারণে গ্রাম-ইউনিয়নে করদাতা শনাক্তকরণ একটি মাইলফলক।
 
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক গতি সম্প্রসারিত হওয়ায় গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। গ্রাম ও ইউনিয়নে প্রচুর সক্ষম করদাতা রয়েছে যা আমাদের অগোচরে।
 
বিশাল অংশের এসব করদাতাকে করনেটের আওতায় আনতে জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
 
জেলা প্রশাসকরা এ বিষয়ে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। চেয়ারম্যানদের রাষ্ট্রীয় এ কাজে সহযোগিতার জন্য আমরা তাদের সম্মানিত করবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬
আরইউ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।