সংসদ সদস্য বেগম জেবুন্নেছা আফরোজের ওই প্রশ্নের জবাবে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে একটি কন্টেইনার টার্মিনাল, ১টি বাল্ক টার্মিনালসহ অনান্য মুল অবকাঠামো নির্মাণের পর জাহাজ বার্থিং এর মাধ্যমে পণ্য খালাস শুরু হবে। পুর্ণাঙ্গ পায়রা বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ ও অনান্য আনুষাঙ্গিক কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
মন্ত্রী জানান, পায়রা বন্দরের মুল অবকাঠামো নির্মাণ কাজে ১৯টি ভাগ করা হয়েছে। যার ৭ ভাগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে এবং বাকি ১২ টি বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে।
ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী বলেন, দেশের নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পুরোনো ডিজাইনের যাত্রীবাহী নৌযানের নকশা অনুমোদন বন্ধ করে ওয়েদার ডেক বিশিষ্ট বড় আকৃতির নৌযান নির্মাণে মালিকদের উৎসাহিত করা, পর্যায়ক্রমে ছোট ছোট লঞ্চগুলোকে বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চালকদের যোগ্যতা উন্নয়নের জন্য নাবিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র সংখ্যা বাড়ানো ও প্রশিক্ষণের মান উন্নত করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, নৌযান সার্ভে রেজিস্ট্রেশন এবং পরিদর্শন কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ও আপদকালে তথ্য ও সহায়তা দেওয়া, ভেসেল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার কাজও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
এছাড়াও দেশের সকল নৌযানকে একটি সমন্বিত ডাটাবেজের অধীনে এনে স্বচ্ছ রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নৌ শুমারীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান নৌমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
এসএম