মেলায় কেউ বা এসেছেন পণ্যের খোঁজে কেউ বা এসছেন নিজের পণ্যের প্রচারের জন্য। আসছেন সাধারণ অনেক মানুষও।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক পুরানো। কিন্তু সেখানে বারবারই বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু বাণিজ্য এই ঘাটতি কমে আসছে ধীরে ধীরে। কারণ ভারতে আমাদের রফতানি বাড়ছে। মেলার প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি রয়েছেন ভারতীয়রাও। তাই বিনিয়োগও বাড়তে পারে।
ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ারে অটোমোবাইল থেকে শুরু করে আসছে খাদ্যের নানা পণ্য। যাতে খুশি ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই। ঠিকই এমনই একজন রশীদ আল হাসান। তিনি পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশে মধ্যম আকৃতির ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগের সাথেই সম্পর্ক ভারতের ব্যবসায়ীদের। আমাদের আমদানিটাও হয় ভারত থেকে। ঠিক তেমনি রফতানিও হয় ভারতে। এখানে ভারতের অনেক প্রতিষ্ঠান এসেছে। তাই আমরা এখান থেকে ভবিষ্যতের জন্য ক্রেতা পাবো বলে আশা করছি।
তবে পণ্য বিক্রি এই মেলার মূল উদ্দেশ্য নয় বলে জানিয়েছেন ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বিন আলম।
তিনি বলেন, এই মেলায় পণ্য বিক্রি আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। এই মেলার মাধ্যমে আমাদের পণ্যের প্রচার করতে চাই ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে। যেন ভবিষ্যতে আমরা আরো অর্ডার পাই। তবে গত তিনবারের মেলায় আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। এবারও পাচ্ছি এবং আগামী দিনেও পাবো।
১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে ইন্দো বাংলা ট্রেড ফেয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
ইউএম/আরআই