উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিতে বিমা খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ খাতের অবদান সামান্য। অথচ প্রাকৃতিক ও অন্যান্যভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশে মানুষের দুর্দশা লাঘব, সামাজিক কল্যাণ সাধন, শিল্প এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ঝুঁকি নিরসনে বিমা খাতের সম্ভাবনা ব্যাপক।
সূত্র জানায়, সরকারের পাশাপাশি অর্থায়নে সহযোগিতা করছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য সুলতান উল-আবেদিন মোল্লাকে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে বিমা বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করায় আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান তাকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পটির ১৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার আর বাকি ৬৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার উন্নয়নের মধ্যে জনবলকে প্রশিক্ষিত করা হবে। আইডিআরএ’র পাশাপাশি বিআইএ এবং দুই করপোরেশনের আইটি বিভাগ গঠন করা হবে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিমা খাতের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের।
এছাড়াও সব বিমা কোম্পানিকে এক সফটওয়ারের আওতায় আনতে নতুন অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়ার তৈরি হবে। রিক্স বেইজড বিমাগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে। প্রকল্পটি এখন একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয় সুলতান উল আবেদিন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, বিমা খাতকে কার্যকরভাবে তত্ত্বাবধানের লক্ষ্যে আইডিআরএ’র সামর্থ্য বৃদ্ধিকরণ, বাংলাদেশ বিমা একাডেমির (বিআইএ) আধুনিকায়ন, সাধারণ ও জীবন বিমা করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, বিমা খাতকে নিবিড় নজরদারির আওতায় আনা এবং কর্মপদ্ধতিকে গতিশীল করা ও গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যেই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। যাতে বিমা খাতের সব কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা যায়।
এ বিষয়ে আইডিআরএ’র সদস্য ও মুখপাত্র জুবের আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, দেশের অর্থনীতির সাথে সাথে বিমা খাতের অবদান বাড়ছে। তাই বিশ্ব মানের বিমা কোম্পানি গড়ে তুলতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্মত হয়েছেন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, সচেতনতা বাড়াতে পারলে এ খাত থেকে অনেকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে সক্ষমতা অর্জন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ