ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মাছ-মুরগির দাম অপরিবর্তিত, বেড়েছে মাংসের দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
মাছ-মুরগির দাম অপরিবর্তিত, বেড়েছে মাংসের দাম বাজারে দাম বেড়েছে মাংসের; ছবি- শাকিল

ঢাকা: রাজধানীর জুড়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ধর্মঘট চলছিলো বেশ কয়েকদিন ধরেই। যার ফলে রাজধানীর কোনো বাজারেই ছিল না গরু বা খাশির মাংস, তবুও দামের কোন প্রভাব পড়েনি মাছ আর মুরগির বাজারে। অথচ ধর্মঘটের ৬ দিন পরে বাজারে মাংস এলেও সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে বেড়েছে মাংসের দাম।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে মেলে এই সব তথ্য।

রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দামের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।

যা গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজি প্রতি ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও মাংসের বাজারে এসেছে পরিবর্তন, গরুর মাংসের দাম ৪৪০-৪৫০ থাকলেও, আজ অধিকাংশ বাজারে গরুর মাংসের দাম ৫০-৬০ টাকা বেড়ে ৫০০-৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের দাম ৫০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে।

মাংসের দামের বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের  মাংস ব্যবসায়ী কবির (৫০) বলেন, গরু তেমন পাওয়া যাচ্ছে না, গরুর কেনা থেকে শুরু করে সব কিছু মিলে দাম বেশি পড়ছে তাই মাংসের দাম বেশি।

অন্যদিকে বাজার করতে আসা মমিন বলেন, মাংসের দাম দোকান ভেদেও পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, কোন দোকানে ১০-২০ টাকা কম, কোনটাতে আবার বেশি রাখছে।

তবে মুরগির মতো মাছের বাজারে দামে কোন পরিবর্তন আসেনি,  মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৬০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা ১৮০ টাকা,  সরপুঁটি ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির; ছবি- শাকিলএছাড়া টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬২০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকায়, আর ইলিশ কেজি প্রতি (মাঝারি) ৮০০ টাকা এবং বড় প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকায়।

এদিকে শীত কমতে না কমতেই, সবজির দাম আগের চেয়ে একটু বেড়েছে, তবে গত সপ্তাহের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা, সাদা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, কালো বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়,  প্রতি কেজি শিম ৩০-৩৫ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি করলা ৪৫ টাকা,  শশা ৪০-৪৫ টাকা,  আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি পটল ৯০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা এবং পেঁপে ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মোহাম্মাদপুর কৃষি মার্কেটে বাজার করতে আসা পার্থ বলেন,  শীতে সবজির সরবারহ কমে যাচ্ছে , তাই দাম একটু বাড়তি মনে হচ্ছে।

মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুদি পণ্য। কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল (দেশি) ১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, মুগ ডাল (দেশি) ১০৫ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ৯৫ টাকা, মাসকলাই ১২৫ টাকা এবং ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে আদা রসুনের দাম, আমদানি করা মোটা রসুন কেজিতে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা ২১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

এদিকে চালের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪০ টাকা, মিনিকেট ভালো ৫২-৫৩ টাকা, মিনিকেট নরমাল ৪৮ টাকা, পারিজা চাল ৪০-৪১ টাকা,হাস্কি নাজির চাল ৪০ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
এসটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।