প্রকল্প সাহায্য কমলেও চূড়ান্ত আরএডিপিতে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বরাদ্দ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চাহিদা অনুযায়ী বন্টন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শেরে-বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ আরএডিপি’র অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি’র সভাপতি শেখ হাসিনা।
মূল আরএডিপি’র ব্যয় বরাদ্দ মেটাতে মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল (জিওবি) ৭৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা থেকে ৬ হাজার ৫০০ কোটি থোক বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প সাহায্য (পিএ) বরাদ্দ আসবে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়া স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনগুলোর নিজস্ব অর্থায়নের চাহিদা অনুসারে আরএডিপি’তে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। ফলে মোট আরএডিপি’র আকার দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৯ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা।
আরএডিপিতে সরকারি অর্থায়ন বাড়ার ফলে রাজস্ব আহরণ আরও বাড়াতে হবে। তা না হলে অতিরিক্ত ৭ হাজার কোটি টাকা সংস্থান করা সরকারের জন্য কঠিন হবে। তবে, সাত হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত সংস্থান করা হলে সরকার যে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি টার্গেট করেছিলো সেই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গুলশান হামলার কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এর প্রভাব পড়েছে। আমরা প্রকল্প সাহায্যের সাত হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারবো না। এতে করে জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরেছি তা অর্জন করতে পারবো না। তবে প্রধানমন্ত্রী ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ করেছেন।
‘এর ফলে ৭ দশমিক ২০ শতাংশের উপরে আমরা প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবো। বর্তমানে এডিপি বাস্তবায়নের হার ভালো। থোক বরাদ্দ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চাহিদা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এমআইএস/ওএইচ/এসএইচ
** মূল আরএডিপি ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকাই