বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান, রাজধানীর বেগমবাজারের আমদানিকারক ‘মাহমুদ ট্রেডিং’ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য আমদানি করেন।
আরেকটি চালানে রাজধানীর গুলশানের আমদানিকারক ‘কবির ট্রেডওয়েজ’ মালয়েশিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য আমদানি করে। তার পক্ষে একই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স ইএইচট্রেডিং বিল অব এন্ট্রি সি ৪০৯, একই তারিখে দাখিল করে।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ইউনিট আমদানি করা কন্টেইনার দু’টি পুনকায়িক পরীক্ষা করে ঘোষিত ও প্রাপ্ত পণ্যের এইচএসকোড বর্ণনা এবং পরিমাণে ব্যাপক অনিয়ম পায়।
এরপর আমদানিকারকের ঘোষণা ও প্রথম কায়িক পরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪০৪ নম্বর বিল অব এন্ট্রির শুল্কায়িত শুল্ক করাদি ধার্য করা হয় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দাদের পুনকায়িক পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনলাখ টাকা জরিমানাসহ ওই চালানের প্রযোজ্য শুল্ক করাদি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ টাকা। অতিরিক্ত শুল্ক করাদির পরিমাণ প্রায় ১৮ লাখ টাকা।
একইভাবে ৪০৯ নম্বর বিল অব এন্ট্রির প্রথম কায়িক পরীক্ষা অনুযায়ী শুল্ক করাদি ধার্য করা হয় প্রায় ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দাদের পুনকায়িক পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী একলাখ টাকা জরিমানাসহ প্রযোজ্য শুল্ক করাদি নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এতে অতিরিক্ত শুল্ক করাদির পরিমাণ প্রায় তিন লাখ টাকা বেড়েছে।
পণ্য চালান দু’টিতে প্রাথমিকভাবে ধার্য শুল্ক করাদি প্রায় ১০ লাখ টাকার স্থলে আমাদনিকারকরা প্রায় ৩১ লাখ ৫ হাজার টাকা শুল্ক করাদি পরিশোধ করেন।
শুল্ক গোয়েন্দার তৎপরতার কারণে প্রায় ২১ লাখ টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়া পানগাঁও বন্দরে যারা ওই পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭
এসজে/এএটি/এএ