একইসঙ্গে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ এবং কোম্পানিটিকেও সর্তক করা হয়। কমিশনের ৬০০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নিয়মভঙ্গ করে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে এ গ্রুপের তিন কোম্পানি সামিট পূর্বাচল পাওয়ার কোম্পানি, সামিট উত্তরাঞ্চল পাওয়ার এবং সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার লিমিটেড একীভূতকরণ করে সামিট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন-১৮, ডিপজিটরি প্রবিধানমালা, ২০১৩ এর প্রবিধান ৪৬(২)ও (৩) এবং হাইকোর্টের রায় যথাযথভাবে পালন করেনি সামিট পাওয়ার। এজন্য কোম্পানিটিকে সর্তক পত্র ইস্যু করেছে কমিশন।
তিনি বলেন, সামিট পাওয়ার কোম্পানির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুতের বিষয়ে যথাযথভাবে বিবেচনা না করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ৯(৫) ভঙ্গ করেছেন ডিএসই ও সিএসই’র এমডি এবং সিআরও।
তিনি আরো বলেন, শুধু একীভূতকরণ এবং তালিকাচ্যুত নয়, সামিট পাওয়ারের শেয়ার অননুমোদিতভাবে বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ডিপজিটরি প্রবিধানমালা, ২০০৩ এর প্রবিধান ৪৬(২) ও (৩) ভঙ্গ করে সিআরও এবং হেড অব মার্কেট অপারেশনের প্রধান।
এছাড়াও কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুতের বিষয়ে ডিএসই ও সিএসই’র লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর রেগুলেশন ৫১ ও ৫২ ভঙ্গ করেছে সিআরও এবং প্রতিষ্ঠানের লিস্টিং বিভাগের প্রধান।
এসব কারণে ডিএসই ও সিএসইর এমডি ও সিআরও জনস্বার্থ তথা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে অগ্রাধিকার না দিয়ে এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ এর ১৯ নং ধারা লঙ্ঘন করায় এমডি,সিআরও, লিস্টিং এবং অপারেশন বিভাগের প্রধানকে সর্তক করেছে কমিশন।
এছাড়াও উপরোক্ত কার্যক্রম আইন যথাযথ পরিচালনা না করে সম্পূর্ণ করার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়ায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পরিষদকে ভবিষ্যতের জন্য আরো সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস