পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) জানিয়েছে, উন্নয়নশীল দেশের সারিতে যেতে জাতিসংঘের নিয়ম অনুসারে মাথাপিছু আয়, মানব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা—এ তিনটি সূচকের কমপক্ষে দু’টিতে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে হয়, যা ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আগামী বছরের মধ্যেই প্রয়োজনীয় বাকি লক্ষ্যটিও প্রাথমিকভাবে অর্জন করতে পারবে।
বর্তমানে এলডিসিভূক্ত দেশ ৪৫টি। এ তালিকা থেকে থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসবে বাংলাদেশ, যার সংখ্যা ৫৬টি।
জিইডি সূত্র জানায়, মোট দেশজ আয়ের (জিএনআই) ভিত্তিতে মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১ হাজার ১৯০ ডলার হতে হয়। আগামী বছরেই এ লক্ষ্যমাত্রা পার হয়েও জিএনআই হবে ১ হাজার ২৪২ ডলার। অন্যদিকে মানবসম্পদ সূচক (এইচএআই) ৬৬ ও অর্থনৈতিক সংকট সূচক (ইভিআই) ৩২ ছাড়াবে।
আগামী ২১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সদর দফতরে এলডিসি নিয়ে সভা শুরু হবে। ওই সভায় বাংলাদেশের অর্জন বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হবে। সভায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন জিইডি’র সদস্য ড. শামসুল আলম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. আমীর হোসেন ও ডেপুটি মহাপরিচালক তোফায়েল আহমেদ।
জিইডি’র সদস্য ড. শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছাতে জাতিসংঘের মোট শর্ত তিনটি। এর মধ্যে দু’টি পূরণ করেছি। সাধারণত দু’টি শর্ত পূরণ হলেই সভায় অংশ নেওয়া যায়। তবে আশা করছি, ২০১৮ সালের মধ্যেই তিনটি শর্তই পূরণ করতে সক্ষম হবো। ইতোমধ্যেই মানব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে আমরা জাতিসংঘের দেওয়া শর্ত পূরণ করেছি। জাতিসংঘ যেভাবে চায়, সেভাবেই মাথাপিছু আয়ও অর্জন করবো’।
‘এর পরেই স্বল্পোন্নত থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের সারিতে আসবে বাংলাদেশ। এটি দেশ ও জাতির জন্যে আনন্দের সংবাদ’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর