শনিবার (১৮ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিজিএমইএ কর্তৃক আয়োজিত জব ফেয়ারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিদের পক্ষেও দেখি অনেকে কথা বলছেন।
জঙ্গি দমনে বর্তমান সরকার সফল- উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ জঙ্গি ইস্যু নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করলে তা বাস্তবায়ন হবে না।
২০২১ সালে পোশাক শিল্পের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে হলে তাদের সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এক সময় এ দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। আর এ দেশ এখন ক্ষুধা-দারিদ্র্য নিরসন ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ‘রোল মডেল’।
পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তোফায়েল আরও বলেন, তাদের সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে। শ্রমিক সংগঠনগুলোকে এখন ক্রেতাদের দাম বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেয়া উচিত। বিজিএমইএ’র জন্য নতুন একটি সুন্দর ভবন দরকার। নয়তো ক্রেতারা আকৃষ্ট হবেন কি করে। যারা রেমিটেন্স আনছে দেশে তাদেরও নগদ প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, অর্থমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএইএ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুখ হাসান ও বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, অনেক গার্মেন্টস মালিক এসে আমাকে ট্রেড ইউনিয়ন না দেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু কেন করেন, তা আমি বুঝি না। পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা শ্রম অধিকার নিয়ে সচেতন কিনা সে তা আমি জানি না। শ্রমিক নেতাদের উচিত ক্রেতাকে পণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বলা। পণ্যের দাম বাড়লেই শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো সম্ভব।
মেলার উদ্বোধন শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জব ফেয়ারের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
ইউএম/এসএইচ