এনবিআর সূত্রে জানা যায়, যে সব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেন বছরে ৩০ লাখ টাকার কম তারা এ কার্যক্রমের বাইরে থাকবে। তবে যাদের লেনদেন ৩০ লাখ টাকার বেশি তাদেরকে www.vat.gov.bd ঠিকানায় গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
আরও জানা যায়, ভ্যাট অনলাইনের ওয়েবসাইটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্য শাখার ঠিকানা, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যবসার ধরন, ব্যবসা শুরুর তারিখ, বিদ্যমান ভ্যাট নম্বর থাকলে তার তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ব্যবসায়ে তাদের অংশের তথ্যও দিতে হবে নিবন্ধনকালে।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২০ সাল পর্যন্ত। করদাতাদের বিআইএন রি-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধার্থে প্রতিটি ভ্যাট কমিশনারেটে তৈরি করা হচ্ছে সাপোর্ট সেন্টার। যাদের কম্পিউটার নেই তারা এসব সাপোর্ট সেন্টারে এসেও রি-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকটি উদ্দেশ্যে নিয়ে ভ্যাট আইনটি প্রণয়ন করা হয়। এগুলো হচ্ছে,সরকারি-বেসরকারি খাতে রাজস্ব আদায় বাড়ানো ও ভ্যাট আইন ব্যবসাবান্ধব করা, রাজস্ব ফাঁকি চিহ্নিতকরণে এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানো, ভ্যাট-প্রশাসনকে আরও আধুনিক সুশৃঙ্খল ও সেবাধর্মী করা, জ্ঞানভিত্তিক ভ্যাট প্রশাসন প্রতিষ্ঠা, শিল্পায়নের প্রসারে সহায়তা করা, সরকারি-বেসরকারি খাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সার্বিক দক্ষতা বাড়ানো এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করার মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানো।
এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম ধাপের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১শ’ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের নিবন্ধন করেছে। ভ্যাট অনলাইন কার্যক্রমটিকে আরো বেশি গতিশীল করতে আগামী ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যাট অনলাইনের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। প্রাথমিকভাবে আমরা দেড় লাখ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের আওতায় (এলটিইউ) ২৬৩টি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পুনঃনিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে আরো বেশি গতিশীল করতে এনবিআর রাজস্ব আদায় করে চলেছে। ভ্যাট অনলাইনকে করা হয়েছে সহজতর। এখানে যে কেউ খুব সহজে ভ্যাট অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের নিববন্ধন নাম্বার দিয়ে রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এই প্রকল্প রাজস্ব আহরণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। ভ্যাট অনলাইনের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব যেমন বাড়বে, তেমনি রাজস্ব ফাঁকিও বন্ধ হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন করতে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে। এরপর যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের নিবন্ধন না করে তবে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ঘণ্টা, মার্চ ১৮,২০১৭
এসজে/জেডএম