এদিকে দেশীয় এসব পণ্য মেলায় সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়ায় ক্রেতারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
রোববার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ছোট-বড়, নারী-পুরুষসহ সব বয়সীদের উপস্থিতি।
বিক্রেতারা বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের মেলায় লোক সমাগম বেড়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিক্রিও হচ্ছে।
মেলায় ছোট ছোট স্টল জুড়ে বাহারি পণ্য সাজিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সাশ্রয়ী মূল্যে মনকাড়া বাহারি সব পণ্য এরইমধ্যে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
দেশে উৎপাদিত পাটজাতপণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, আইটি পণ্য, চামড়াজাত, প্লাস্টিক ও সিনথেটিক, হস্তশিল্প, ডিজাইন এবং ফ্যাশনওয়্যারসহ অন্যান পণ্য প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে মেলায়।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের আয়োজনে এবারের এসএমই মেলা রোববার (১৯ মার্চ) শেষ হওয়ার কথা ছিলো। উদ্যোক্তাদের চাহিদার কারণে মেলার সময়সীমা বাড়িয়ে সোমবার (২০ মার্চ) করা হয়েছে।
সারাদেশ থেকে আসা উদ্যোক্তারা এসএমই মেলায় অংশ নেন। এদের মধ্যেই অধিকাংশই নারী উদ্যোক্তা। মেলায় হস্তশিল্প, বুটিক ও বাটিকের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিচসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী করছেন উদ্যোক্তারা।
এছাড়া পাটের ব্যাগ, স্যান্ডেল, শো-পিচসহ বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে মেলায়।
রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে মেলায় এসেছেন আমেনা রশিদ। তিনি বলেন, এখানে সূক্ষ্ণ হাতে কাজের জিনিসপত্র দেখলাম। হাতের তৈরি জিনিসের উপর আমার তীব্র আর্কষণ। কিছু থ্রি-পিচ, শাড়ি ও পাটের তৈরি শো-পিচ কিনবো।
বাইরে বিভিন্ন ব্রান্ডের শো-রুমগুলোতে কাপড়ে অল্প হাতের কাজ থাকলে অনেক দাম নেই। এখানে হাতের তৈরি জিনিসপত্র শো-রুমের দামের তুলনায় অনেক কমে পাওয়া যাচ্ছে- বলে যোগ করেন এ ক্রেতা।
মেলায় অংশ নিতে রাজশাহী থেকে এসেছেন এম আর থ্রি-পিচ কর্নারের কর্ণধার সায়মা কানিজ।
চারদিন পার হওয়া মেলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এমন আয়োজন অনুপ্রেরণাদায়ক। মেলার কারণে আমরা ক্রেতাদের কাছে আমাদের পণ্যগুলো পরিচিত করতে পারছি। বাইরের যেকোনো শো-রুমের তুলনায় এখানে কম দামে পণ্য পাচ্ছেন ক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
এমসি/আরআইএস/জেডএস