এমন কড়াইয়ের হাতল, ব্যাগের হ্যান্ডেল, প্লাস্টিকের বোতলসহ আরো কয়েকটি পরিত্যক্ত বস্তুকে রিসাইক্লিং করে বিভিন্ন উপকরণ ও রঙের ব্যবহারে তৈরি করা হয়েছে ঘর সাজানোর আর্কষণী শো-পিচে। পরিত্যক্ত জিনিস থেকে রিসাইক্লিং করে নতুন পণ্য তৈরি- এমন উদ্যোগ নিয়ে ব্যবসার হাল ধরেছেন আরমীন ইসলাম বিপা।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তাদের আয়োজনে এবারের জাতীয় এসএমই মেলায় অংশ নিয়েছে তার ‘নির্ভানা ফ্যাশন হাউজ’। তিন বছর ধরে এসএমই মেলায় অংশ নিচ্ছে বিপার ফ্যাশন হাউজ।
তবে বিপা’র ব্যবসার শুরু নিজের হাতে ডিজাইন করা পোশাক ও অলঙ্কার দিয়ে। মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু এ ব্যবসা ছেড়েছে লাখ টাকাকেও। থ্রি-পিচ, পাঞ্জাবি, সোয়েটার, অলঙ্কার, শো-পিচসহ বাহারি পণ্যের সমাহার এ ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার।
কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পড়াশোনা করলেও ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতি তীব্র আর্কষণ এ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার। এজন্য ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন। এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে হ্যান্ডিক্র্যাফট ভেজিটেবল ডায়িংয়ের ওপর নিয়েছেন প্রশিক্ষণ।
পরিত্যক্ত জিনিসকে কেন ব্যবসার উপাদান হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, সুস্থ সুন্দর পরিবেশ আমার সব সময়েই কাম্য। পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণ বেড়ে যাচ্ছে। নতুন জিনিস তৈরি করতে কার্বন নিঃসরণ হয়। ব্যবহার করা জিনিস যদি রিসাইক্লিং করে আবার ব্যবহার করা হয় তাতে কার্বন নিঃসরণ কমে যায়। আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিবেশের জন্য এটুকু করতে চাচ্ছি। তাছাড়া কোনো জিনিসেই ফেলনা না, হয়তো ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে কিছু যে করা যায়, এটা আমরা জানি না।
রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা শো-পিচ ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে। এ ধরনের পণ্যের দু’একটি অর্ডারও পেয়েছি বলেও জানান বিপা।
ব্যবসার পরিধি আরো বড় করার স্বপ্ন এ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার। ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, নিজের একটা ফ্যাক্টরির স্বপ্ন রয়েছে। আমার ডিজাইন করা পণ্য একদিন রপ্তানি করবো এ স্বপ্নও দেখছি। আর এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
এমসি/জেডএস