ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশে বিনিয়োগে সব সহযোগিতা দেওয়া হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
বাংলাদেশে বিনিয়োগে সব সহযোগিতা দেওয়া হবে

ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীরা সব ধরনের সহায়তা পাবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। 

সোমবার (২০ মার্চ) সিঙ্গাপুর সিটির ‘এসবিএফ অডিটোরিয়ামে’ বাংলাদেশের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অফ সিঙ্গাপুর যৌথভাবে আয়োজিত ‘সাউথ এশিয়া মার্কেট ইনসাইটস সিরিজ বিজনেস অপরচুনিটি ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য এখন বিশ্বের মধ্যে আকর্ষণীয় স্থান। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উদারনীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে শতভাগ বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে, প্রয়োজনে  বিনিয়োগকৃত অর্থ সম্পূর্ণ ফেরত নেওয়া যাবে। এ বিষয়ে আইন দ্বারা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। তাই সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভবান হবেন।  
 
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দেওয়া আকর্ষণীয় সুযোগ গ্রহণ করতে পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে এ সব বিনিয়োগ আসছে। সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীরা চাইলে এখান থেকে এক বা একাধিক ইকোনমিক জোন বরাদ্দ করা হবে। সরকার ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টকে (এফডিআই) বিশেষ গুরুত্ব ও সহযোগিতা দিচ্ছে।
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। গত বছর বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। ২০২১ সালে দেশের রপ্তানির পরিমাণ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর ৭ দশমিক ১১ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। দেশে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। জিডিপিতে রপ্তানির অবদান এখন ১৬ শতাংশের বেশি। কৃষিতে ১৫ দশমিক ৯৬, শিল্পে ৩ দশমিক ৪২ এবং সেবা খাতে ৫৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।  রেমিটেন্স ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। বাংলাদেশ এখন মেগা প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে।  
 
এ সময় সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অফ সিঙ্গাপুর একটি এমওইউ স্বাক্ষর করে। সেমিনারে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়িক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের নিকট বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ, সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ অনেক পণ্য সিঙ্গাপুরে রপ্তানি করে। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি সিঙ্গাপুরে কাজ করছে। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর সিঙ্গাপুরে ১৬৪ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে, একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে এক হাজার ৯৬৫ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনা সম্ভব।

সেমিনারে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং  সাউথ এশিয়া বিজনেস গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম ব্যানার্জি, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অফ সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট মির্জা গোলাম সবুর বক্তব্য রাখেন।  
উল্লেখ্য, সাউথ এশিয়া মার্কেট ইনসাইটস সিরিজ বিজনেস অপরচুনিটি ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনারে যোগ দিতে বাণিজ্যমন্ত্রী ১৯ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুর যান, তিনি ২১ মার্চ দেশে ফিরবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
আরএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।