হুট করে চালের এই দাম বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, মিল মালিকদের অবৈধ মজুদের কারণেই দাম বেড়ে গেছে চালের।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রির স্থান বাহাদুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গুটি স্বর্ণ (মোটা) চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬ টাকায়-এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়। বিআর আঠাশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়-গত সপ্তাহে যার কেজি ছিল ৪০ টাকা। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়- গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ৪৪ টাকা কেজিতে।
এছাড়া রঞ্জিত ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকায়, সুমন স্বর্ণ ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
জেলাজুড়ে হঠাৎ করে চিকন চালের পাশাপাশি মোটা চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্মআয়ের মানুষের।
বাহাদুর বাজারে চাল কিনতে আসা শহিদা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ৬/৭ দিন আগেও চাল কিনেছি প্রতি কেজি ৩০/৩২ টাকায়। কিন্তু আজ সেই চালই ৩৬ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম এভাবে বাড়ায় আমরা পড়েছি মহা ফ্যাসাদে।
খুরচা চাল বিক্রেতা সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বস্তায় (৫০ কেজি) বেড়েছে ১শ’ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে চাল মজুদ করছে। তারা যে দামে বাজারে চাল ছাড়ছে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে তার চেয়েও বেশী দামে।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা চাল কল মালিক সমিতির সদস্য নুরুজ্জামান সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে জমিতে ধান চাষ হচ্ছে। নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের বাজার উদ্ধর্ধমুখী থাকতে পারে। মিল মালিকদের বিরুদ্ধে মজুদের অভিযোগ সত্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
জেডএম/