সবশেষ পাইল ডিজাইন চুড়ান্ত হওয়ায় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে, ২০১৮ সালেই শেষ হচ্ছে পদ্মাসেতুর কাজ। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর অগ্রগতি ৫০ ভাগের কাছাকাছি।
পদ্মাসেতু সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, ২৪০টির মধ্যে ৪৭টি’র পাইল ড্রাইভ শেষ। পদ্মার দুই পাড়ে মাওয়া আর জাজিরায় চলছে ঝড়ো বেগের কাজ।
পদ্মাসেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাদারীপুরের জাজিরা অংশের ১৯৩টির মধ্যে ৬৬টির পাইল কাজ শেষ। মানে জাজিরা অংশে পাইলের অগ্রগতি ৩৫ ভাগ। আর জাজিরার ‘ট্রানজেশন পিয়ার’ ১৬টির মধ্যে ৬টি শেষ হয়ে গেছে। আরও ২ টির কাজ চলছে। দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে বাকিগুলো।
পদ্মা নদীর জাজিরার দিকের ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১- এই ৫ পাইলের নকশা চুড়ান্ত হয়েছে। প্রাথমিক ডিজাইন আগে করা থাকলেও চুড়ান্ত ডিজাইনের কাজে গতি কিছুটা কমে এসেছিলো। লোড টেস্ট শেষে ডিজাইন চুড়ান্ত করার পর সেই ধীর গতি কেটে গেছে। বাকি প্রায় সব পাইলের টেস্ট ড্রাইভ শেষ হওয়ায় নকশা আসতেও দেরি হবে না বলে মনে করেন প্রকৌশলীরা।
সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, মূল সেতুর পাইল কাজের অগ্রগতি ব্যাপক। দুই পাড়েই চলছে কাজের উৎসব। আগের চেয়ে মূল সেতুর কাজ বেশ এগিয়ে যাবে আগামী কয়েক মাসে।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীদের তথ্য অনুযায়ী, মাওয়ার দিকে ২, ৩, ৪ ও ৫ নাম্বার পিয়ারের ডিজাইন যে কোন সময় পাওয়া যাবে। ডিজাইন এলে পাইলের ব্যাপ্তি ও গভীরতার চুড়ান্ত মাপ-ধারণা নিয়ে কাজ করতে বেশি সময় লাগবে না।
এদিকে, সামনের বর্ষা মৌসুম মোকাবেলা করেই এগুবে পদ্মার একেকটি পাইলের চুড়ান্ত কাজ। বর্ষায় সেতুর জন্য পৃথক করা প্যানেলের ভেতরেই কাজ হবে।
অন্যদিকে সেতুর সুপারস্ট্রাকচার কাজও এগুচ্ছে সমানতালে। তৈরি করে পাদ্মা পাড়েই রাখা হয়েছে সেতুর একটি স্প্যান। এখনই এ স্প্যান পদ্মায় পাইলের ওপর তোলা যাবে। তবে কয়েকটি স্প্যান একসঙ্গে তোলার পরিকল্পনা সংশ্লিষ্টদের।
‘আর দুই তিন মাস পরে ৫টি স্প্যান এক সঙ্গে তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের একজন সিনিয়র প্রকৌশলী।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
এসএ/জেডএম