অন্যদিকে বাংলাদেশি পণ্য যেমন আকর্ষণ করে থাই নাগরিকদের, তেমনি থাই পণ্যের বাজারও রয়েছে বাংলাদেশে। তারপরও দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভলিউম (পরিসর) খুবই ছোট।
বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘থাই উইক-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। থাইল্যান্ডের অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। তেমনি থাইল্যান্ডেও বাংলাদেশের তৈরি অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। তারপরও কেন ব্যবসা বাড়ে না, এটা বোধগম্য নয়। তবে আমরা সমস্যা চিহ্নিত করতে উদ্যোগী হয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তা লাভজনক হবে। দু’পক্ষের ডাইরেক্ট ফরেন ইনভেস্টমেন্টকে (ডিএফআই) উৎসাহিত করছে ঢাকা। এক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সরকার আইন করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করছে। উদার বিনিয়োগ-নীতিতে বিনিয়োগকারীরা শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে সম্পূর্ণ বিনিয়োগের অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। এতে বাণিজ্য বাড়বে।
থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে এক বা একাধিক অঞ্চল তাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলার মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষ বিভিন্ন পণ্যের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পান। গত বছর বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার করেছে। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং সে দেশের মানুষ বাংলাদেশের পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। উভয় দেশের পর্যটক বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ থাইল্যান্ডে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। গত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৩৫.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৬৬৮.০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
থাইল্যান্ডে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করে এ বাণিজ্য ব্যবধান কমানো সম্ভব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড এরইমধ্যে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়েছে। বাণিজ্য সহযোগিতা আরও বাড়ানো হলে বাংলাদেশের রপ্তানিও বাড়বে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমোনসোয়ান্নাপং, মিনিস্টার কনস্যুলার সিবস্যাক ডেনবুনরিয়াং।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
আরএম/এইচএ/
আরও পড়ুন
** থাইল্যান্ডের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব