নতুন বাজারের মাংস ব্যবসায়ী শফিক বাংলানিউজকে বলেন, মাংসের বিষয়ে কিছুই বলা যায় না। গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৪৮০ টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি করেছি এখন আবার ৪৬০ টাকায় বিক্রি করছি।
রামপুরা বাজারে কথা হয় ক্রেতা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে গরুর মাংসের দাম যা ছিলো তারচেয়ে আজ কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০ টাকা। তবে আগামীকাল হয়তো বা আবার দাম বেড়ে যাবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি ১৮৫ টাকায়, দেশি মুরগি ৮শ’ টাকা হালিতে, পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজি প্রতি ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৩০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, কাতলা ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা ২৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১২০ থেকে ২০০ টাকা, আকার ভেদে চিংড়ি ৪০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সাদা বেগুন কেজি প্রতি ৫০ টাকা, কালো বেগুন ৪৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, শশা ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, কুমড়া প্রতি পিছ ২৫ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পটল ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, আলু ১৫ টাকা এবং পেঁপে কেজি প্রতি ২০ টাকা, লেবু হালি প্রতি ১৫-২০ টাকা, পালং শাক, লালশাক পুঁইশাক, লাউশাক ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২২ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, চীনা রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে চালের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪০ টাকা, পারিজা চাল ৪০-৪২ টাকা, মিনিকেট ভালো ৫০-৫৩ টাকা, মিনিকেট নরমাল ৪৮ টাকা, বিআর আটাশ চাল ৪২-৪৪ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৪১-৪৭ টাকা, বাসমতি চাল ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ চাল ৭৩-৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ থেকে ১১০ টাকায় আর ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, ভারতীয় মসুর ডাল ১১৫ টাকা, মুগ ডাল (দেশি) ১২০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪,২০১৭
এসজে/আরআই