টাকা জমাতে গ্রাহকদেরকে ফোনে অনুরোধ জানাচ্ছেন ব্যাংকটির প্রতিনিধিরা।
গত বছর প্রায় ১৯ শতাংশ মুনাফার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সহায়তা দিতে বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে ২০০১ সালের ০৪ জুলাই যাত্রা শুরু করে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ ব্যাংকটিরও প্রতিষ্ঠাতা।
সূত্র জানায়, গত ২৫ থেকে ২৮ মার্চ বেশ কয়েকজন গ্রাহককে ব্র্যাক ব্যাংকের কল সেন্টার থেকে ফোন করে টাকা জমা রাখার অনুরোধ জানানো হয়। কল সেন্টার থেকে ফোন করে বলা হয়, ‘স্যার, আমি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে বলছি। আমাদের ফান্ড ক্রাইসিস চলছে। আপনি যদি কিছু টাকা জমা রাখতেন। দু-একদিন পর আবার তুলে নিতে পারবেন’।
ব্র্যাক ব্যাংকের ফোন পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এসব গ্রাহক। তারা বলেছেন, ‘বছর শেষে বিপুল মুনাফা করার তিন মাসের মাথায় এসে আর্থিক সংকটে পড়লো কিভাবে? এভাবে কোনো ব্যাংক থেকে ফান্ড ক্রাইসিসের খবর জানানো আমাদের কাছে নতুন’।
ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন জারা জাবীন মাহবুব বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনেকের হিসাবে ব্যালেন্স জিরো থাকে। এক বছরের বেশি সময় ধরে লেনদেন হয় না। তাদেরকে ফোন করে টাকা জমা রাখতে বলা হয়। কারণ, একটি হিসাব পরিচালনার জন্য ব্যাংকের খরচ আছে তো’।
‘ক্যাম্পেইনের সময়ও আমাদের সেলস ডিপার্টমেন্ট থেকে গ্রাহককে ফোন করে টাকা জমা রাখতে বলা হয়। এটি রেগুলার অ্যাক্টিভিটিস। অন্য সব ব্যাংকও এ ধরনের ক্যাম্পেইন করে থাকে’- বলেন তিনি।
ব্র্যাক ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ০৮ নভেম্বর ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে সেলিম আর এফ হোসেনের যোগদানের পর গত বছরের শেষের দিকে বেশ কয়েকজন নিন্মপদস্থ কর্মীকে ছাটাই করা হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্যাংকটিতে অস্থিরতা দেখা দিলে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। চাপে পড়ে ও স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম করতে না পারায় চাকরি থেকে ইস্তফা দেন তারা।
সেলিম আর এফ হোসেনের যোগদানের পর সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করায় কেউ ভালোভাবে কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এসই/এএসআর