ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগামী বাজেটে সিএসই’র ছয় ধরনের প্রস্তাবনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
আগামী বাজেটে সিএসই’র ছয় ধরনের প্রস্তাবনা

ঢাকা: ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জ দু’টিকে শতভাগ করমুক্ত রাখা ও স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে আয়কর ০ দশমিক ০১৫ টাকা পুনর্নির্ধারণসহ আসন্ন বাজেটে ৬ ধরনের প্রস্তাবনা দিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
 

রোববার (০৯ এপ্রিল) এ প্রস্তাবনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছে সিএসই কর্তৃপক্ষ।

এতে বলা হয়, ‘দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের তুলনায় পুঁজিবাজারের মূলধনের হার অনেক কম।

বাজারের এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গুণগত মানসম্পন্ন কোম্পানিকে বাজারমুখী করতে কৌশলগত কিছু পদক্ষেপ জরুরি। তাই স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারেজ হাউজ, বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বার্থে আসন্ন বাজেটে ৬ ধরনের সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করছি’।
 
প্রস্তাবনায় প্রথমে তুলে ধরা হয় করপোরেট খাতকে।   এ খাতের জন্য সিএসই’র প্রস্তাবনা হলো- দেশে শিল্পায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য মূলধন গঠনের লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রণোদনা হিসেবে বিদ্যমান কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিদ্যমান কর হার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশে নির্ধারণ করা।

এ ছাড়াও এসএমই খাতের কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনতে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে সিএসই। এক্ষেত্রে করপোরেট কর হার প্রথম ৫০ মিলিয়ন টাকা পর্যন্ত শূন্য শতাংশ, পরবর্তী ৫০ মিলিয়ন টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ এবং তার বেশি  হলে ২০ শতাংশ কর নির্ধারণ করা যেতে পারে।

স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউজ নিয়ে সিএসই’র প্রস্তাব হচ্ছে- ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জ দু’টিকে শতভাগ করমুক্ত রাখা এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ০ দশমিক ০৫ এর পরিবর্তে ০ দশমকি ০১৫ শতাংশ এ পুনর্নির্ধারণ করে এভাবে কর্তিত করকে ব্রোকারেজ ব্যবসা থেকে উদ্ভূত সমুদয় আয়ের জন্য চূড়ান্ত কর দায় বিবেচনা করা।
 
কোম্পানিগুলো আয়ের ওপর প্রদেয় কর কর্তন করে লভ্যাংশ দেয় বলে লভ্যাংশ থেকে উৎসে কর কর্তনের বিধান বাতিল ও বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করারও প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।
 
পরবর্তী প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- ২০১৬ সালের ০১ জুলাই থেকে বিক্রয়লব্ধ লাভের ওপর ১ বছর পর্যন্ত ৫ শতাংশ কর হার ধার্য এবং ১ বছরের বেশি শূন্য শতাংশ কর আরোপ, সফটওয়ার মেনটেইনেন্স ফিয়ের ওপর উৎসে কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ ও মূল্য সংযোজন কর কর্তনের হার ২ শতাংশ নির্ধারণ এবং লোকসান সমন্বয় করার সুযোগ আট বছর পর্যন্ত করা।
 
তালিকাভুক্ত মোবাইল কোম্পানির করসীমা ৪০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে কমিয়ে আনা, ব্যক্তিগত আয়ের কর সীমা ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনা, করমুক্ত বাড়ি ভাড়া মাসিক সীমা ৪০ হাজার টাকা উন্নীত করা এবং ইউটিলিটি বাবদ বার্ষিক ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখার বিধান করারও প্রস্তাব দিয়েছে সিএসই।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এমএফআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।