বিদেশি ক্রেতাদের থাকার উপযোগী করে তৈরি হয়েছে রিসোর্টটির সবগুলো কক্ষ। আধুনিক সব সুবিধার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সাজানো হয়েছে ৫০টি রুম, তৈরি হচ্ছে আরও ১০০টি।
দিন শেষে ক্লান্ত পায়ে সবুজ ঘাসে হাঁটার জায়গা এখন তেমন কোথাও নেই বললেই চলে। কিন্তু সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে শাহ মেরিন রিসোর্টে। হাঁটা পথের পাশেই রয়েছে অনিন্দ্যসুন্দর ঝরনা। বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকছে রিভার ভিউ। রিসোর্টের রুম থেকেই দেখা যাবে ধলেশ্বরী নদীর অপরূপ দৃশ্য।
চামড়াশিল্প পার্ক থেকে ক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের শাহ মেরিন রিসোর্টে যাওয়ার পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতেই চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ট্যানারির ক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের জন্য ঘাটে সার্বক্ষণিক সুসজ্জিত নৌকার ব্যবস্থা আছে। ঘাটে এসে চাইলে তারা ৩ মিনিটে পৌঁছে যাবেন চায়না ঘাটে অবস্থিত শাহ মেরিন রিসোর্টে, যা সম্পূর্ণ ফ্রি। কেউ যদি সড়ক পথে রিসোর্টে আসতে চান তারা চামড়া শিল্পনগরী থেকে আমাদের +৮৮০১৯৬৬৫৯৪০১১ নম্বরে ফোন করলেই শাহ মেরিন রিসোর্টের নিজস্ব গাড়ি পৌঁছে যাবে তাকে আনতে। এ সুবিধাও ট্যানারির ক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি। এখানে থাকতে প্রতিদিন সিঙ্গেল রুমের জন্য খরচ পড়বে আড়াই হাজার টাকা আর ডাবল রুমে থাকতে গুণতে হবে ৫ হাজার টাকা।
মূলত ট্যানারি শিল্পের উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে শাহ মেরিন রিসোর্ট বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মমিনুল ইসলাম চৌধুরী।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ট্যানারি শিল্প বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী অন্যতম একটি খাত। যখন সাভারের চামড়া শিল্প নগরী স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিলো তখন ট্যানারি মালিকরা ক্রেতাদের থাকার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সে সময় মনে হয়েছিলো আমার কিছু করা উচিত। তাই শাহ মেরিন রিসোর্ট গড়ে তোলা। ট্যানারির উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের জন্য শাহ মেরিন রিসোর্ট থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুধিবা দেওয়া হবে।
শাহ মেরিন রিসোর্টে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে শক্ত মনিটরিং ব্যবস্থাও রয়েছে বলেও জানান শাহ মমিনুল ইসলাম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
ইউএম/এমজেএফ