বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড.মইনুল খান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বন্ড সুবিধা আমদানিকৃত কাঁচামাল উৎপাদনে ব্যবহার না করে অবৈধভাবে অপসারণ করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পায় শুল্ক গোয়েন্দা।
মইনুল খান আরো জানান, অভিযানকালে শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানিক দল ইনভেন্ট্রি করে বন্ড গুদামের স্থিতি অপেক্ষা ২০৩ টন কাচামাল কম পায়। যা ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে অপসারণ করে খোলাবাজারে বিক্রি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া অপসারণকৃত পণ্যের মধ্যে আছে ডুপ্লেক্স বোর্ড ৭৬ টন এবং পলি দানা ১২৭ টন। অপসারণকৃত কাঁচামালের বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর শুল্ককরাদির পরিমাণ প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি কাঁচামাল দিয়ে রপ্তানিকারক গামেন্টস ফ্যাক্টরির জন্য এক্সেসরিজ (পলিব্যাগ, হ্যাংগার, ব্যাকবোর্ড, নেক বোর্ড ইত্যাদি) তৈরি করার শর্তে বিনা শুল্কে আমদানির বন্ড লাইসেন্স নেয়। কিন্তু কাঁচামাল আমদানি করে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এতে বন্ড লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে এবং এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ফ্যক্টরি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শুল্ক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফ্যাক্টরিটি আজ (বুধবার) তালাবদ্ধ করা হয়েছে বলেও জানান মইনুল খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২,২০১৭
এসজে/বিএস