বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সারাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের স্ব স্ব অফিসে এ হালখাতা শুরু হয়।
প্রথমবারের মতো হালখাতা উপলক্ষে এনবিআর’র চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গ্রাম বাংলার আবহমান সংস্কৃতি এখনো আমরা ভুলে যাইনি।
হালখাতায় অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে মিষ্টি, মোয়া, মুড়কি, বাতাসা ইত্যাদি।
হালখাতা অনুষ্ঠানে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস বিষয়ক টিভিসি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া এনবিআর’র পক্ষ থেকে আয়োজিত এ হালখাতা উৎসবে করদাতা, অংশীজন, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ীসহ সর্বসাধারণকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১২ এপ্রিল (বুধবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) রাজস্ব আহরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের বড়বড় শিল্প-প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ব্যাংক, বিমা, ইন্ডাস্ট্রি সবই এলটিইউ’র অধীনে রাজস্ব প্রদান করে থাকে। এনবিআর চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় এলটিইউ ‘ওপেন হাউজ ডে’র পরিবেশে ‘রাজস্ব হালখাতায়’ ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে।
এতে দেশের রাজস্ব ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখা শিল্পপতি, ব্যাংক, বিমাসহ সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন, বড় আকারে বকেয়া রাজস্ব প্রদান ও নববর্ষে হালখাতার ঐহিত্যবাহী ভোজনে অংশ নেবেন। ‘ওপেন হাউজ ডে’ পরিবেশে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজস্ব হালখাতা চলবে। এছাড়া বৃহৎ করদাতাদের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে দুপুর ১টায় এলটিইউর (সেগুনবাগিচাস্থ সরকারি অফিসের ৭ম তলা) সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এসজে/জিপি/জেডএস