রোববার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান, খাদ্যমন্ত্রী অ্যডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ বছর ধান সংগ্রহ করা হবে ৮ লাখ মেট্রিক টন এবং চাল সংগ্রহ করা হবে ৭ লাখ মেট্রিক টন। সরকার ধান-চাল কেনার মূল্য কৃষককে সরকারি অ্যাকাউন্ট ফে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করবে। যাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো দৌরাত্ম না থাকে। কৃষকরা যাতে উচিত মূল্য পায়।
বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকট কামরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, এ বছর সরকার গম কিনবে একলাখ মেট্রিক টন যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ২৮ টাকা। এছাড়া সরকার যে ৭ লাখ মেট্রিক টন চাল কিনবে তার মধ্যে রয়েছে এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল। এই আতপ চাল প্রতি কেজি ৩৩ টাকা মূল্যে কেনা হবে।
তিনি বলেন, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে। মূল্য পরিশোধ করা হবে চেকের মাধ্যমে। এই টাকা কৃষকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। তাদেরকে একাউন্ট পে চেক দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে এই ধান সংগ্রহ শুরু হবে ২ মে থেকে এবং তা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। গম সংগ্রহ শুরু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। এ বছর কৃষকের ধানের উৎপাদন খরচ হয়েছে ২২ টাকা এবং চালের উৎপাদন খরচ ৩১ টাকা। এ বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ কোটি ৯১ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন। সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার হাওর এলাকায় ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টনের মতো। এই ক্ষতির পরও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ধানের উৎপাদন অনেক বেশি হয়েছে। তাই হাওর এলাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা অন্য দিক থেকে পূরণ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭/আপডেট ১৬৫৯ ঘণ্টা
এসকে/বিএস