পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির মানি রিসিপ্ট, ব্যাংক ডিপোজিট স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, কাভারনোট ও পলিসি পরীক্ষা করে এই অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ অপরাধে বিমা কোম্পানি, এমডি এবং ময়মনসিংহ শাখার ব্যবস্থাপককে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আইডিআরএ।
বাকিতে বিমা ব্যবসা বলতে বোঝায় গ্রাহকের কাছ থেকে প্রিমিয়ামের টাকা না নিয়ে সম্পূর্ণ বাকিতে বিমা পলিসি ইস্যুর মাধ্যমে গ্রাহকের ঝুঁকি গ্রহণ করা। এভাবে বাকিতে বিমা ব্যবসা করা এ খাতের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনে। তাই আইন করে বাকিতে বিমা ব্যবসা নিষিদ্ধ করে আইডিআরএ।
প্রতিবেদন মতে, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রিমিয়ামের টাকা না নিয়ে সম্পূর্ণ বাকিতে ৫৩ হাজার ৫৩৭টাকার ফায়ার (অগ্নি) পলিসি করে অগ্রণীর ময়মনসিংহ শাখা। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে ২৭ হাজার ৭০০ টাকার এবং ২০১৫ সালের জুন মাসে বাকিতে আরো ১১ হাজার ৩৮৬ টাকার অগ্নি বিমা করে ওই শাখা।
আইডিআরএ’র পরিদর্শন দল কোম্পানির শাখার মানি রিসিপ্ট, ব্যাংক ডিপোজিট স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, কাভারনোট ও পলিসি পরীক্ষা করে তিনটি পলিসিতেই বাকিতে ব্যবসার প্রমাণ পাওয়া যায়। অনিয়ম হয়েছে কিনা জানতে কোম্পানি এবং আইডিআরএ’র প্রতিনিধি দলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ এপ্রিল ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত শুনানিতে কোম্পানি এমডি, শাখা ব্যবস্থাপক এবং হিসাব কর্মকর্তা এবং আইডিআরএ’র সাবেক চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ, সাবেক সদস্য মো. আবদুল কুদ্দুস, জুবের আহমেদ খান, সুলতান উল- আবেদিন মোল্লা এবং বর্তমান মুর্শিদ আলম উপস্থিতি ছিলেন।
শুনানিতে উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেনি কোম্পানি কৃর্তৃপক্ষ। ফলে বাকিতে ব্যবসা প্রমাণিত হয়। যা বিমা আইন ২০১০ এর ১৮ এর ৩ ধারা লঙ্ঘন। এই আইন লঙঘনের দ্বায়ে বিমা আইন ১৯৫৮ এর ৪৪-৫৫ ধারায় কোম্পানিকে ২ লাখ করে ৬ লাখ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ৫০ হাজার করে দেড় লাখ টাকা এবং শাখা ব্যবস্থাপককে ৫০ হাজার করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিষয়টি সম্পের্কে আইডিআরএ’র সদস্য বাংলানিউজকে জানান, কোম্পানিটির বাকিতে বিমা ব্যবসার প্রমাণ মিলেছে। আইন অনুসারে কোম্পানি, এমডি এবং শাখা প্রধানকে মোট ৯ লাখ টাকা জারিমানা করা হয়েছে।
মুঠোফোনে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন জানতে চাইলে ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ