আর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ব্যবসায়ীদের দাবি প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেবেন। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, ভ্যাট কমানোর আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নতুন আইন অনুসারে আগামী ১ জুলাই থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ভ্যাট আইন কি কার্যকর হচ্ছে- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, অফকোর্স কার্যকর হচ্ছে।
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ করার দাবি করেছেন বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
রেট কী হচ্ছে- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, টু থিংস আই হ্যাভ টোল্ড দেম দ্যাট ইট ইজ গোয়িং টু বি ইফেক্টিভ ফার্স্ট অব জুলাই। রেট উইল বি অনলি ১৫ পারসেন্ট।
দুই পয়েন্ট ব্যবসায়ীরা মেনে নিয়েছেন কিনা, প্রশ্নে আর্থমন্ত্রী বলেন, সেটা তাদেরকেই জিজ্ঞেস করেন।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে এসবিসিসিআই’র সভাপতির চলতি দায়িত্বে থাকা সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, একে আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা ও ভ্যাট আইন বিশেষজ্ঞ মঞ্জুর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আজকের বৈঠক ফলপ্রসু এবং যুক্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। শেষ করার আগে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষুদ্র আকারে আরেকবার বসবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায়। আমাদের অনেক কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের এটা মেয়াদেরও শেষ সময়।
তিনি বলেন, আমাদেরকে একদিকে ভ্যাট আইন কার্যকর করতে হবে। অপরদিকে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থকেও রক্ষা করতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে আমাদের দেশিয় শিল্পগুলোও আমাদের আলোচনা করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস তিনি (অর্থমন্ত্রী) বলে গেছেন, এই সরকার বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত নেবে। এমন সিদ্ধান্ত হবে, যাতে জনগণ খুশি হবে, ব্যবসায়ীরাও খুশি হবে।
ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দেশে দুই কোটি ২৪ লাখ প্রান্তিক ব্যবসায়ী রয়েছে। কিন্তু ভ্যাট পাই আমরা একেবারেই কম। এই মার্জিনাল বিজনেস কমিউনিটির জন্যই আমরা এখানে রিপ্রেজেন্ট করছি। আমরা চাই এটা সিমপ্লিফাইড ওয়েতে এবং বিজনেস কমিউনিটিকে যুক্ত করে তারপর যাতে ভ্যাট আইনের প্রয়োগ করা হয়।
ভ্যাট ১০ শতাংশ রাখতে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেননি বলে জানান মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, আলাপ আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। আমরা আশা রাখতে চাই।
ভ্যাট আইন বিশেষজ্ঞ মঞ্জুর আহমেদ বলেন, আমরা বলেছি, যারা কিনে কনজিউমারের কাছে বিক্রি করেন, সেখানে ভ্যাটের রেট যেন দশমিক ৫ শতাংশের বেশি না হয়। ইউরোপে এটা দশমিক ৮ শতাংশ আছে। আমাদের এখানে যাতে সবাই ভ্যাট দিতে আগ্রহী হয়। ১৫ শতাংশ দিতে হলে কেউ আগ্রহী হবে না। তাতে জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়বে। মুদ্রাস্ফীতি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
এমআইএইচ/বিএস