ঢাকা: ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আট ব্যবসায়ীকে এক লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার বিক্রি এবং খাবারে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানোর অভিযোগে তাদের এই জরিমানা করা হয়।
এদিকে চকবাজারের ইফতার বিক্রেতারা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.ডট.কমের কাছে অভিযোগ করেছেন, আত্মপ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই তাদের জরিমানা করা হয়েছে। তারা জানেন না তাদের অপরাধ কি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজারে অভিযান চালায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় আদালত আবদুল হক বাণিজ্যালয় নামের একটি কলার আড়তে অভিযান চালিয়ে রাসায়নিক দিয়ে কলা পাকানোর প্রমাণ পায়।
আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালিয়ে গেলে আড়তটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
একই অভিযোগে শিকদার বাণিজ্যালয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। পিওর ফুড অর্ডিন্যান্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) ২০০৫ এর ৬/১ ধারা অনুযায়ী এই শাস্তি দেওয়া হয়। অভিযানের সময় আড়তটির মালিক পালিয়ে যায়।
বিক্রেতাদের জরিমানা করা হলেও রাসায়নিক মেশানো কলা বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খলিল আহমেদ বলেন, ‘কলা বাজেয়াপ্ত করে রাখার জায়গা নেই। আর আদালত অভিযান চালানোতে সবাই বুঝতে পেরেছে কলাগুলো তিকর। তাই আর কেউ কিনবে না বলে আমার ধারনা। ’
পরে আদালত যাত্রাবাড়ির বিক্রমপুর বিরিয়ানী হাউসকে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও তৈরীর অভিযোগে ডিসিসি অর্ডিন্যান্সের ১৫০/৩ ধারায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করে।
এদিকে সকালে বিএসটিআই’র আরেকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পুরনো ঢাকার চকবাজারে ছয়টি ইফতারির দোকানে অভিযান চালিয়ে এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। পিওর ফুড অর্ডিন্যান্সের ২৩ ধারা অনুযায়ী এই জরিমানা করা হয়।
কিন্তু ইফতার বিক্রেতারা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না আমাদের অপরাধ কি। যে দোকানেই ম্যাজিস্ট্রেট ও বিএসটিআই’র লোক ঢুকেছে সেই দোকানকেই জরিমানা করেছে। আত্মপ সমর্থন করতে গেলে জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে। ’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল আমীনের নেতৃত্বে বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক আবু সাইদ, র্যাব-১০, ঢাকা মহানগর দাঙ্গা পুলিশ ও চকবাজার থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযানে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সময় ১৮৫০, ১৯ আগস্ট ২০১০