কলোম্বো সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার (৩০ আগষ্ট) সে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রশিদ বাথিউদ্দিনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত এমন অনেক বিশ্বমানের পণ্য রয়েছে যা শ্রীলঙ্কায় তৈরি হয়না এবং এখানে (শ্রীলঙ্কায়) তার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। উচ্চ শুল্কহার কমালে শ্রীলঙ্কার বাজারে এসব বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি আরো বাড়বে। এরমধ্যে বাংলাদেশের ওষুধ, কাগজ, সিমেন্ট, এমএস রড ও কৃষি পণ্য রয়েছে। উচ্চ শুল্কহারের কারণে এ সব পণ্য বাংলাদেশ রফতানি করতে পাচ্ছে না। এখানে ট্যারিফ ও প্যারা ট্যারিফের হার তুলনামূলক অনেক বেশি।
তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সমস্যা দূর করতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্রুত সভা আহ্বান করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। গ্লোবাল অ্যাপারেল সাপ্লাই চেইন সৃষ্টির করে শ্রীলঙ্কায় রফতানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এতে করে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে। সেজন্য শ্রীলঙ্কা সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উভয়দেশের নীতিগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে এ সংক্রান্ত সব কাজ শেষ করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য রফতানি পণ্য সংখ্যা ও বাজার সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ২৯ আগস্ট থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যাপিরাডি ট্যানট্যারপরনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন। এ সময় চলতি মাসের ৯-১০ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে জয়েন্ট ট্রেড কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
ওই বৈঠকে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের কাছে সে সব পণ্যের শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা চেয়েছে, সে গুলোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তের আহ্বান জানান। থাইল্যান্ডের সঙ্গে এফটিএ করার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে যৌথ টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার সকালে ব্যাংকক থেকে কলোম্বো যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
আরএম/এসএইচ