কিন্তু এবছর কোরবানি উপলক্ষে পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য কোনো প্রস্তুতি নেই বরিশালের চামড়া ব্যবসায়ীদের।
ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করার পর গত দুই বছর ধরে টাকা না পাওয়ায় তারা এবার নতুন করে কাঁচা চামড়া কিনবেন কিনা তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে গত দুই বছর ধরে বকেয়া রয়েছে অনেক টাকা। যারফলে এ ব্যবসায় শ্রমিক ও পুঁজি খাটিয়ে টিকে থাকা দায় হয়ে যাবে। পাশাপাশি বরিশালের ব্যবসায়ীদের অনেক সময়ই লোকসানে চামড়া বিক্রি করতে হয়। এরপরও যদি সেই টাকা আটকে থাকে, তবে নতুনভাবে ব্যবসায় টাকা লগ্নি করা কতোটা যুক্তিসম্মত তাও হিসাব কষে দেখতে হচ্ছে।
এদিকে বরিশালের ব্যবসায়ীদের টাকা আটকে থাকায় স্থানীয় ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীদেরও অবস্থা অনেকটাই খারাপ। তারাও আগের টাকা পাওয়ার আশায় পাওনাদার হিসেবে মাসের পর মাস সময় পার করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম।
অপরদিকে টাকা আটকে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি চামড়া’র সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরাও বেহাল দশায় দিন পার করছেন। অনেক সময় তাদেরও ৩-৪ মাস বেতন বকেয়া হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
চামড়া ব্যবসায়ী মো. শামিম বাংলানিউজকে বলেন, এক সময় ভালো ব্যবসা করলেও এখন কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের আড়তগুলো অনেকটা নীরব সময় পার করছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করায় কোরবানির চামড়া কিভাবে কিনবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ঢাকায় ট্যানারি মালিকদের কাছে কোটি টাকা বকেয়া আর পাওনাদারের চাপে নতুন করে চামড়া কেনার সাহস পাচ্ছেন না তারা।
চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, শুধু আর্থিক বিষয় নয়, কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত লবণ নিয়েও চলে সিন্ডিকেট। প্রতিবছরই বলা হয় লবণের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু যখন লবণের প্রয়োজন হয় তখন পাওয়া যায় না। আর যখন আসে তখন লবণের প্রয়োজন হয় না।
বরিশাল থেকে প্রতি বছর কোরবানির সময় স্থায়ী ও মৌসুমী মিলে পাঁচ শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ী ২০ কোটি টাকারও বেশি চামড়া ঢাকায় পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৭
এমএস/জিপি