বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে মুদ্রানীতি (জুলাই-ডিসেম্বর) শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এমন অভিমত তুলে ধরেন।
কর্মশালায় ঘোষিত মুদ্রানীতি বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সাল আহমেদ।
মূল আলোচক বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সাল আহমেদ বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যকে সামনে রেখেই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে বেসরকারি খাত বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাবে। তবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের জন্য মুদ্রানীতির বাইরেও অনেক নিয়ামক রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার বাজেটে ঘোষণা দিয়েও প্রয়োজন না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ নিচ্ছে না। সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে বেশি অর্থ নিচ্ছে। এতো অর্থ নেওয়ার ইতিবাচক-নেতিবাচক উভয় দিককেই পর্যালোচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম’র চেয়ার-প্রফেসর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সঞ্চয়পত্র থেকে অনেক বেশি অর্থ নেওয়ার কারণে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অনেকে এর ওপর নির্ভরশীল--সেই বিষয়টিকেও সক্রিয় বিবেচনায় রাখতে হবে। এজন্য সঞ্চয়পত্রে সংস্কার আনা প্রয়োজন। গরিব এবং মধ্যবিত্তদের জন্য সেভিংস সার্টিফিকেট চালু করতে হবে। এতে সুদহার তুলনামূলক একটু বেশি রাখা যেতে পারে। অপর দিকে সেভিংস বন্ড হবে ধনীদের জন্য। এর সুদহার হবে ব্যাংক রেটের মতো।
বিআইবিএমের চেয়ার-প্রফেসর এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, প্রবৃদ্ধি শুধু অর্থ সরবরাহের ওপরই নির্ভর করে না। বিনিয়োগকারীরা চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস-বিদ্যুৎ পেলে আরও বেশি বিনিয়োগ হবে। এক্ষেত্রে মুদ্রনীতি কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সরকারি ব্যাংকের খেলাপী ঋণ স্বাভাবিক নয়। এসব ব্যাংককে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি প্রফেসর মো: ইয়াছিন আলি।
বাংলাদেশ সময়:১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
এসই/জেএম