বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৫ জুন কাঁচামাল ইনভেন্ট্রির উদ্দেশ্যে হাজারীবাগের মেসার্স এসকর্ট ফুটওয়্যার লিমিটেডে গিয়ে ৫০ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি উদ্ঘাটন করেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহীন আহমেদ ও পরিচালক সাজ্জাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
মইনুল খান আরও জানান, অপসারণ করা কাঁচামালের উপর প্রযোজ্য শুল্ককরাদির পরিমাণ ৫০ লাখ ১২ হাজার ৯৭৪ টাকা ৮৬ পয়সা। বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অভিপ্রায়ে এবং দেশীয় শিল্প-কারখানাকে উৎসাহিত করার জন্য বন্ডেড সুবিধার মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের কাঁচামাল বিনা শুল্কে আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
কিন্তু এই সুবিধার অপব্যবহার করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা অর্জন করছে। অন্যদিকে সরকার যথাযথ রাজস্ব হারাচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে কাজ করে যাচ্ছে।
একইসঙ্গে বন্ড প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকাকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪,২০১৭
এসজে/এএ