বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টস্ অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) মিলনায়তনে চার্টার্ড মেম্বার কনফারেন্সে একথা জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজিবুর রহমান বলেন, ‘রাজস্ব অডিট নিয়ে যে অভিযোগ আসছে, তা কিভাবে মিনিমাইজ করা যায়- আমরা সে চিন্তা-ভাবনা করছি।
‘সারাদেশে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের প্রয়াস চালাচ্ছে এনবিআর। সেজন্য উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আয়কর অফিস করা হচ্ছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে করসেবা দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত চলে যাচ্ছে এনবিআর’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামনে রাজস্ব আদায়ের যতো বড় লক্ষ্যমাত্রাই আসুক না কেন, তা অর্জন করবো। আইসিএবি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পার্টনারশিপের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ করা হবে। সেজন্য এনবিআর নতুন নতুন ইনোভেটিভ অ্যাপ্রোচ নিয়ে আসছে, সারাদেশে আয়কর ক্যাম্প করছে’।
‘যারা এখনো এনবিআরের ট্যাক্স নেটে আসেননি, তাদেরকে ট্যাক্সের আওতায় নিয়ে আসতে এ ক্যাম্প করা হচ্ছে। ক্যাম্পের মাধ্যমে করযোগ্য ব্যক্তিদের বোঝানো হবে, তাদের আশ্বস্ত করা হবে যে- কর দিলে কোনো অসুবিধা নেই। আপনি ট্যাক্স জালের মধ্যে আটকা পড়বেন না। জনকল্যাণে কর দেবেন, দিলে ট্যাক্স আপনার কাছেই ফিরে আসবে’।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব দিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে ৮ মিলিয়ন বা ৮০ লাখ ব্যবসায়িক ইউনিট রয়েছে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ একটি বিজনেস রেজিস্টার তৈরি করছে। বিজনেস রেজিস্টারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো করের আওতায় আসেনি, তাদেরকে করের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না’।
‘এছাড়া নতুন আয়কর আইন করা হবে। বাংলাদেশে আয়করের ক্ষেত্রে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন আইনের মাধ্যমে সে সম্ভাবনা কাজে লাগানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে অত্যন্ত সহজ, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি সমৃদ্ধ করে বাংলা ভাষায় আইনটি করা হবে’।
আগামী বছর এ আইন পাস হবে বলে আশা করেন তিনি।
আইসিএবি’র প্রথম সভাপতি ড. জামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে চার্টার্ড মেম্বার কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য ব্যারিষ্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, পারভেজ ইকবাল, মো. লুৎফর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
এসজে/এএসআর