বর্তমানে নিম্নমানের চালের মূল্যও প্রতিকেজি ৫০ ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে আবার নতুন করে যোগ হয়েছে সহসায় চালের মূল্য না কমার বিষয়টি।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট শুক্রাবাদ এলাকার চালের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতিকেজি মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা, বিআর-২৮,পারিজা) বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা, যা কোরবানির ঈদের আগে ছিলো ৪৫-৪৬ টাকা। ১ নম্বর মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা, যা ঈদের আগে ছিলো ৫৪-৫৫ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিলো ৫৮-৬০ টাকা।
এ বিষয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এতো দিন ধরে চলা চালের বাজারের সংকট নিরসনে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের কোনো কার্যকর ও সঠিক পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এ সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিলো জনগণের কাছে কম মূল্যের চাল পৌছে দেওয়া। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে কম মূল্য দূরের কথা স্বাভাবিক মূল্যেই চাল পাওয়া যাচ্ছে না।
কারওয়ান বাজারের চাল কিনতে আসা কামরুল হাসান বলেন, আমরা জানি দেশে বন্যা হয়েছে এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য দিচ্ছে সরকার। তবে এমন অবস্থাও হয়নি যে চালের মূল্য কেজিপ্রতি ৭০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, সরকার আসলে অবৈধ মজুত চাল উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই বাজারের এ অবস্থা।
মো. জাকির হোসেন রাজধানীতে রিকশা চালিয়ে জীবন-যাপন করেন। শুক্রাবাদ বাজারে চাল কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ, সারা দিনের আয়ে সংসার চালানোই আমাদের জন্য কষ্ট হয়। তার উপরে আবার চালের বৃদ্ধি, আমরা বাঁচবো কী করে? চালের এ মূল্য বৃদ্ধি আমাদের জন্য এখন গলারকাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সহসায়ই কমছে না চালের দাম। কারওয়ান বাজারে চালের খুচরা বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, চালের বাজার শান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ক্রেতারা যেমন সংকটে আছেন আমরাদেরও একই অবস্থা।
শুক্রাবাদ কাঁচাবাজারের বিক্রেতা মো. লিটন বলেন, দানব মুজদাররা এ সুযোগে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। মাঝখানে আমরা ও ক্রেতারা ফেঁসে যাচ্ছি। এ অবস্থা বেশি দিন চলতে থাকলে ব্যবসা ছেড়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
এমএসি/ওএইচ/