শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বৃহত্তর কাঁচাবাজার কারওরান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
প্রতি কেজি সবজিতে ৫ থেকে ২০টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
বাজারে সব ডালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও মুগডালে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া, বোতলজাত ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ২ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলে ২০টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
কারওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা ফারুক মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আড়তে যে সবজির পরিমাণ কম তখন ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। সবজির সরাবরাহ কম হওয়ায় বেশি দাম দিয়ে আনতে হচ্ছে। ক্রেতাদের যদি নিতে হয় তাহলে বেশি দামতো দিতেই হবে।
ঈদের দু’দিন আগে মুগডালের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে তা আর কমেনি বলে জানালেন কারওরান বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মো. আলী হোসেন।
তিনি বলেন, মুগডাল ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্য ডালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মুগডাল ১৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান মুগডাল ১১০ টাকা, মশুর ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, মাশকলাইয়ের ডাল ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সব মসলার দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে জানিয়ে কারওরান বাজারের মসলা বিক্রেতা কাশেম আলী বলেন, কোরবানির বাজারকে সামনে রেখে মসলার দাম যে বাড়ছে তা আর কমছে না। সব মসলায় ৫০ থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।
৩০০টাকা কেজি জিরা এখন ৩৮০ টাকা, এলাচির দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৫০০ টাকা, দারুচিনি ৫০ থেকে বেড়ে ২৭০ টাকা। এছাড়া গুড়া মরিচ, গুড়া হলুদ, জিরা, ধনিয়া, লবঙ্গ সহ সব মসলায় ২০ থেকে ৫০টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশ কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে শুরু করে পরিমাণ ভেদে ১০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ৮০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, কাতল ৩৫০ টাকা। এছাড়া সব মাছের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
পাকিস্তানি মুরগি প্রতি পিস বড় সাইজের ২০০ টাকা, মিডিয়াম ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চেলে (পাতি) হাঁস প্রতি পিস ৩০০ টাকা, কমেছে বয়লারের দাম। কেজি প্রতি ১২০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির মাংস সবার ঘরে থাকায় এবং ইলিশ মাছ বাজারে আসায় বয়লারের চাহিদা কম। তাই ঈদের পর থেকেই কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭৫০, ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর এই বৃহত্তর কাঁচাবাজারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এএম/এসএইচ