বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আজম বলেন, চালকল মালিকদের প্লাস্টিকের বস্তা উৎপাদনের কারখানা রয়েছে।
‘পাটের বস্তা ব্যবহার না করলে দেশের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষক পাট নিয়ে বিপাকে পড়লে নিজেরাই তাতে আগুন ধরিয়ে দিবে। ’
তিনি বলেন, একটি পাটের বস্তা ৪৫ টাকায় কিনলে পরে সেটি ২০ টাকায় বিক্রি করা যায়। তৃতীয়বার বিক্রি করলে তা বিনা পয়সার হয়ে যায়। পাটের বস্তা একাধিক বার ব্যবহার করা যায়। যেখানে একটি প্লাস্টিকের বস্তার ২০ টাকায় কেনার পর আর দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় না।
চলতি বছরও দেশে ৮৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়েছে। দেশে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন চাল ব্যবসায়ীরা।
বৈঠকে চাল ব্যবসায়ীরা পাটের বস্তার বিপরীতে প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার দাবি করেন। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের জাতীয় সমস্যা বিবেচনা করে তিনমাসের জন্য শুধুমাত্র আমদানির ক্ষেত্রে চালের জন্য পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে।
‘তবে দেশের মধ্যে সব ধরনের পণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশনা বলবত থাকবে। ’
আইন অনুযায়ী, পাটের বস্তায় চালসহ ১৭টি পণ্য পরিবহন, সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭/আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা
এসই/এমএ