পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনির মহাব্যবস্থাপককে (অপারেশন) অপসারণের দাবিতে সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি। যা ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ৮শ’ খনি শ্রমিককে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠিয়ে খনি গেটে নোটিশ লাগিয়ে দিয়ে সবধরনের কাজ বন্ধ করে দেয় জিটিসি।
খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, জিটিসি ২০১৪ সালে খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
সেসময় খনি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান নামনাম কর্তৃক প্রস্তুতকৃত খনির উন্নয়ন ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনার একটি ডিজাইন জিটিসিকে সরবরাহ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ওই ডিজাইন বা খনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত পরিবর্তীত ডিজাইনে খনি উন্নয়ন করার কথা। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন ও মতামত ছাড়া ডিজাইন পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে জিটিসি খনি উন্নয়ন কাজ শুরু করে যাচ্ছিল। এতে খনির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) ও প্রকল্প পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার টু কন্ট্রাক) মীর আবদুল হান্নানের সঙ্গে জিটিসির মতবিরোধ দেখা দেয়। জিটিসি বেশ কিছুদিন থেকে মীর আবদুল হান্নানকে ইঞ্জিনিয়ার টু কন্ট্রাক এর দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে জিটিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ৮শ’ খনি শ্রমিককে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠিয়ে সকালে খনি গেটে নোটিশ লাগিয়ে দিয়ে সবধরনের কাজ বন্ধ করে দেয়।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ খান বাংলানিউজকে জানান, জিটিসি একজন ঠিকাদার। তারা কোনো অবস্থাতেই কাজ বন্ধ করতে পারে না। এটা জিটিসির সঙ্গে খনি কর্তৃপক্ষের সম্পাদিত চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন।
২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর মধ্যপাড়া খনির উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন ঠিকাদার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বেলারুশের জেএসসি ট্রেস্ট সকটোস্ট্রয় ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া করপোরেশন লিমিটেড নিয়ে গঠিত জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি)।
জিটিসি ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি পাথর উৎপাদন শুরু করে। জিটিসি ১৭১.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ৬ বছরে ৯২ লাখ (৯.২ মিলিয়ন টন) টন পাথর উত্তোলন করে দিবে বলে চুক্তি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।