ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাঙ্গা হচ্ছে এসএমই খাত: ঋণ বেড়েছে ২০ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
চাঙ্গা হচ্ছে এসএমই খাত: ঋণ বেড়েছে ২০ শতাংশ

ঢাকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকি ও নির্ধারিত সময়ে ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নির্দেশনার সুবাদে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের ঋণ বিতরণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

চলতি বছরের জুন শেষে ঋণ প্রায় ২০ শতাংশ। জুন শেষে বিতরণকৃত ঋণের পরিমান ৮৩৫০৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

২০১৬ সালের একই সময়ে যা ছিল ৬৯ হাজার ৬৬৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এবার ১৩ হাজার ৮৩৭ কোটি ৬ লাখ টাকা বেশি বিতরণ হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে নতুন ঋণপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও। গত বছরে তুলনায় ১৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৬০টিতে। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩১৫৮টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বিনিয়োগের মন্দার মধ্যেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বিতরণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

চলতি বছরের জুন পর্যন্ত তফসিলি ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ৭৯১৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৬৬১৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বেড়েছে ১২৫৬০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। একই সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিতরণ করেছে ৪৩২৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গত বছরে ছিল ৩০৫২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। বেড়েছে ১২৭৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উৎপাদনশীল খাতে ২২০৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকায়। গত বছরের একই সময়ে ছিল প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। সেবাখাতে ২২২৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২২২ কোটি টাকায়। গতবছর ছিল প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। ব্যবসাখাতে ৯৪০২ কোটি ৪১ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩৩৪৪ কোটি টাকায়। গত বছরের একই সময়ে ছিল প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকায়।  

বেড়েছে নতুন ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। চলতি বছরের জুন শেষে মোট উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮২৯১৬টিতে। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩০৮৬০১টি। বেড়েছে ৭৪৩১৫ টি প্রতিষ্ঠান।

ছোট শিল্পে ২৯৮০ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ১০২৫৭ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭২৭৭ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র শিল্পে ৫৫৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩২৮২৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৭২৬৭ কোটি টাকা। মাঝারি শিল্পে প্রায় ৫৩৪৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৯২০০ কোটি। গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৩৮৫৪ কোটি টাকা। তবে কুটির শিল্পে ঋণ বিতরণ কমেছে প্রায় ৪শতাংশ। গত বছরের জুন পর্যন্ত ১২৭১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হলেও চলতি বছর জুন পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ১২২১ কোটি টাকা।

নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ বিতরণ কমেছে ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছরে জুনে প্রায় ৩১০০ জন নারী উদ্যোক্তাকে ঋণ দেওয়া হলেও চলতি বছরের জুন শেষে এ সংখ্যায় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৪০০ জনে। উৎপাদনশীল খাতে কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ, সেবা খাতে ২৬ শতাংশ ও ব্যবসা খাতে ২৭ শতাংশ।

ঋণ বিতরণ কমলেও ঋণগ্রহীতা নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার। চলতি বছরের জুন শেষে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৯ হাজারে। গত বছরের একই সময়ে ছিল প্রায় ২০ হাজার। বিনা জামানতে দেড় হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, দেশে চলমান বিনিয়োগ-মন্দার মধ্যেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বিতরণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। যার ফলে এ খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এসই/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।