মিল মালিকদের গোডাউনে অভিয়ান ও ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) এর আওতায় বিক্রি বাড়ানোর ফলে চালের পাইকারি বাজারদর গত কয়েকদিনে কেজি প্রতি ১ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু খুচরা বাজারে এখনো রয়ে গেছে আগের দামই।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকার মুদি ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ঘুরে বাড়তি দামে চাল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব দোকানে মোটা চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট চাল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, চালের দাম করার কথা আমরা টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় শুনছি, কিন্তু আড়তে চালের দাম কম রাখে না। তারা বলে, চাল বেশি দামে কেনা। তাই আমাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।
বৈশাখী জেনারেল স্টোর নামে এক দোকানের বিক্রেতা ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আমরা আশায় আছি চালের দাম কমবে, কিন্তু কমে না। দোকানে চাল শেষের দিকে। তারপরও অপেক্ষা করছি দাম কমে কিনা। দাম কমলে চাল কিনবো। তাছাড়া এক দু’টাকা কমলেও অনেক হাত ঘুরে আসতে আসতে চালের দাম বেড়ে যায়।
ফয়সাল স্টোরের বিক্রেতা তৌফিকুর রহমান বলেন, পাইকারি বাজারে এক টাকা কমলে আমরাও এক টাকা কম নিতে পারবো। পাইকাররা কেনে মিল মালিকদের কাছ থেকে। এখন মিল মালিকরা যদি কম না রেখে বেশি দামে বিক্রি করে, তাহলে তো লসে কেউ চাল বেচবে না। তাই আমরা সবাই মিল মালিকদের কাছে ধরা।
চাল কিনতে সুমন শেখ নামে এক ভোক্তা বাংলানিউজকে বলেন, শুনেছি চালের দাম নাকি কমেছে। কিন্তু বাজারে তো কম রাখছে না। সরকারের উচিত মনিটরিং করা। যারা দাম বেশি রাখছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া স্টেপ নেয়া। এতে হয়তো আমরা জনসাধারণ দু’এক টাকা কমেও চাল কিনতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এএম/জেডএম