ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দক্ষ শ্রমিক তৈরি করবে সিওইএল

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
দক্ষ শ্রমিক তৈরি করবে সিওইএল সিওইএল’র ম্যানেজার অপারেশন ইমরান নাজমুল কপল- ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দক্ষতা‍র অপর্যাপ্ততার কারণে বাংলাদেশ লেদার খাত ভারত ও চীনের চেয়ে পিছিয়ে আছে। উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো এবং গুণগত মানসম্পন্ন লেদার পণ্য তৈরিতে দক্ষ শ্রমিক দরকার। বাংলাদেশের লেদার খাতের সে চাহিদা পূরণ করছে সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর লেদার স্কিল বাংলাদেশ লিমিটেড (সিওইএল)।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে দেশের চামড়াজাত পণ্যের সবচেয়ে বড় আয়োজন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডশো অন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার মেশিনারি, কম্পোনেন্টস, কেমিক্যালস অ্যান্ড অ্যাক্সেসরিজ সংক্ষেপে ‘লেদারটেকশো’র প্রদর্শনী।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এই পঞ্চম লেদারটেক শো’র দ্বিতীয় দিন।

প্রদর্শনী চলবে শনিবার (১৮ নভেম্বর) পর্যন্ত।

ভারত, চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ ১৫টি দেশের ১৭১টি প্রতিষ্ঠান ও শিল্পখাতের সংগঠক, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন।

সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর লেদার স্কিল বাংলাদেশ লিমিটেড (সিওইএল) একটি স্টল নিয়ে অংশ নিয়েছে লেদারটেক শো’তে।

সিওইএল’র ম্যানেজার অপারেশন ইমরান নাজমুল কপল বাংলানিউজকে বলেন, দেশে লেদার খাতে ২০০৯ সালে দক্ষ শ্রমিকের একটা সংকট বোঝা যায়। তখন সুইং, কাটিং লাস্টিং এ বিষয়ে দক্ষ অপারেটর পাওয়া যাচ্ছিলো না। তখনই ‘ইন্ড্রাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল’ সিদ্ধান্ত নেয় একটা ট্রেনিং সেন্টারের। যে ট্রেনিং সেন্টারটি চামড়া খাতে এসব ছোটখাটো প্রয়োজন মেটাবে।
সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর লেদার স্কিল বাংলাদেশ লিমিটেড (সিওইএল) -ছবি: বাংলানিউজ
তখনই ট্রেনিং সেন্টারটি গাজীপুরে স্থাপন করা হয়। ওই এলাকায় অ্যাপেক্স, ল্যান্ডমার্কসহ আরও যেসব ফ্যাক্টরি রয়েছে তাদের চাহিদা মেটানো হতো। গ্রাম থেকে আসা শ্রমিকদের দুই-তিন মাসের ট্রেনিং দিয়ে ফ্যাক্টরিতে দেওয়া হতো বলেও জানান নাজমুল কপল।

তিনি বলেন, কারো প্রয়োজন ‘মিড লেবেল’ কারো প্রয়োজন ‘ফায়ার সেফটি’, ‘কমপ্লায়েন্স’ আবার কারো প্রয়োজন সাধারণ দক্ষ অপারেটর। সে অনুযায়ী ব্যাচ করে ট্রেনিং দিচ্ছে সিওইএল।

সিওইএল স্টল থেকে জানা যায়, ১৫ হাজারেরও বেশি দক্ষ শ্রমিক এ সেন্টার থেকে বের হয়েছে। যাদের ৯৮ শতাংশেরও বেশি বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে চাকরি করছে। এর পরেই তারা মধ্যম পর্যায়ের ট্রেনিং দেওয়া শুরু করে। বিভিন্ন ফায়ার সেফটি এবং কমপ্লায়েন্স আরও ৫ হাজারের মতো লোককে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। একটি ফ্যাক্টরি বা লেদার কোম্পানির চাহিদামতো ট্রেনিং দেওয়া যাচ্ছে এই ট্রেনিং সেন্টার থেকে।

সিওইল কর্মকর্তারা জানান, সম্পূর্ণ অদক্ষ একজন শ্রমিক সরাসরি ফ্যাক্টরিতে যোগদিলে সে সহকারী হিসেবে যোগদেবে। তার অপারেটর হতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। কারণ ওখানে শেখান সুযোগ পাওয়া যায় না। ট্রেনিং করে গেলে তার দুই থেকে তিন মাস সহকারী হিসেবে থাকার পরই অপারেটর হতে পারবেন।

সিওইএল ট্রেনিং প্রাপ্তরা ফ্যাক্টরিতে যে মেশিনে কাজ করবে সেই মেশিনেই এখানে ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে তারা। এখানে লেদারের নতুন টেকনোলজিতে অভ্যস্ত করা হয় শ্রমিকদের। বর্তমানে সাড়ে ৪শ শ্রমিক ট্রেনিং নিচ্ছে বলেও জানান তারা।

তবে বাংলাদেশে ফুটওয়্যার শিল্পে ডিজাইন এখনও বিদেশ থেকে আনতে হয়। ইতালির ডিজাইনারের ডিজাইন আনতে অনেক টাকা খরচ পড়ে যায়। এ ডিজাইনারের ট্রেনিং বাংলাদেশে সিওইএল শুরু করতে চাচ্ছে।

তাদের লক্ষ্য, দেশে ২শ থেকে ৩শ ডিজানার তৈরি করা। প্রথমদিকে ভারতের ডিজাইনারদের দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হবে বলেও জানান সিওইল কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এসএ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।