ঢাকা : চলতি ২০১০-১১ অর্থ বছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮ শ’ ৫০ কোটি ডলার। যা গত অর্থ বছরের চেয়ে ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠকে এ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৈঠক শেষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব মন্দার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রপ্তানি পরিস্থিতি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশ ভালো। গতবছর প্রতিবেশী প্রায় সব দেশে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার যেখানে নেতিবাচক ছিল সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। ’
যদিও গত বছরের চেয়ে তা ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
এ বছর রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে মন্দার প্রভাব কাটতে শুরু করেছে। সুতরাং সেসব দেশে এবার চাহিদা ও আমদানি বাড়বে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ’
পাশাপাশি দেশের রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশা করছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ বছর গ্যাস ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতিরও কিছুটা উন্নতির আশা করছি। পাশাপাশি বন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বিশেষ জোর দিতে হবে। খ্বু শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’
প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ও প্রবৃদ্ধির পরিমাণ নিচে দেওয়া হল-
নিটওয়্যার ৭ শ’ ১৩ কোটি ১৬ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১০ শতাংশ।
ওভেন গার্মেন্টস ৬ শ’ ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ।
পাট ও পাটজাত পণ্য ১ শ’ ১১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি ৪১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
হোম টেক্সটাইল ৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ৪০ শতাংশ।
হিমায়িত মাছ ৪৫ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ১ শতাংশ।
চামড়া ২৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ৩০ শতাংশ।
কৃষিপণ্য ২৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
রাসায়নিক দ্রব্য ১১ কোটি ১১ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ।
বাইসাইকেল ১৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ৪০ শতাংশ।
চামড়াজাত দ্রব্য ৩ কোটি ৪৮ লাভ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।
ফুটওয়্যার ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ১৫ শতাংশ।
সিরামিক পণ্য ৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ এবং ভেসেলস/শিপ ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ২৮৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময় : ১৯২২ ঘণ্টা , আগস্ট ২৫, ২০১০