ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল-কলকাতা সড়কে পরিবহন স্ট্যান্ড, বাণিজ্য ব্যাহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৮
বেনাপোল-কলকাতা সড়কে পরিবহন স্ট্যান্ড, বাণিজ্য ব্যাহত বেনাপোল-কলকাতা সড়কের ওপর এভাবেই যাত্রীবাহী বাস দাঁড় করিয়ে রাখে

বেনাপোল (যশোর): বন্দরনগরী বেনাপোল-কলকাতা সড়কের ওপর অনিয়ম করে যাত্রীবাহী পরিবহন যত্রতত্র রেখে স্টান্ড হিসাবে ব্যবহার করায় যানজটে মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। এতে পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

তবে পরিবহন ব্যবসায়ীদের দাবি বাস টার্মিনালে পর্যাপ্ত জাইগা না থাকায় বাধ্য হয়ে তাদের সড়কের ওপর গাড়ি রাখতে হচ্ছে।

সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা বেনাপোল বন্দর সফরে এসে যানজট নিরসনে দিক নির্দেশনা দিলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলায় কার্যকারী ভূমিকা গ্রহণ হচ্ছে না।

এছাড়া বন্দরের ট্রাফিক ব্যবস্থাও খুবই নাজুক। সার্জেন্ট নিয়োগ থাকলেও কেউ দায়িত্ব পালন করেন না। একজন টিএসআই তার দুই সহযোগীকে নিয়ে কোন করমে যানজট নিরসনে কাজ করছেন। ফলে দিন দিন দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।  

জানা যায়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল-কলকাতা মহাসড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের একটি মাধ্যম। অর্থ ও সময় সাশ্রয়ে দু’দেশের ব্যবসায়ীদেও  এপথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। এছাড়া চিকিৎসা ও ব্যবসার ক্ষেত্রে এপথে প্রতিদিন অন্তত্য ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। কিন্তু বন্দর এলাকার ব্যবস্থপনায় যানজটে র্দীঘ সময় লেগে যাওয়ায় ব্যাহত হয়ে আসছে বাণিজ্য।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকার বেনাপোল-কলকাতা সড়কে গিয়ে দেখা যায়, চেকপোস্ট ও বেনাপোল বাজারে রাস্তার দুই ধারে অনিয়ম করে যাত্রীবাহী বিভিন্ন পরিবহন দাঁড় করিয়ে স্ট্যান্ড হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি ব্যস্ততম এই মহাসড়কটির ওপরেই গাড়ি রেখে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এতে ময়লা পানি গায়ে পড়ায় পথচারীরা বিরক্ত বোধ করছেন।

অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি পণ্য বহনকারী ট্রাকগুলো সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে যেতে না পেরে আটকে থাকছে ঘণ্টা পর ঘণ্টা। বিষয়টি দুর্ভোগ হলেও যেন কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই।

সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী মজনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বেনাপোল চেকপোস্টে আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল রয়েছে। কিন্তু পরিবহন চালকরা সেখানে গাড়ি না রেখে তাদের সুবিধার জন্য কাউন্টারের সামনে মহাসড়রের ওপর দুই ধারে বাস রেখে দেয়। এতেই যতো সব সমস্যা। বেনাপোল বন্দরে ট্রাফিক ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় এসব অনিয়ম ঘটছে বলেও তিনে মনে করেন।

এ বিষয়ে বেনাপোল গ্রিনলাইন পরিবহনের ম্যানেজার আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, বেনাপোল বন্দরে যে পরিমাণ পরিবহন চলাচল করে তার অর্ধেক গাড়ি রাখার ব্যবস্থা বাস টার্মিনালে নেই। তাই অনেক সময় রাস্তার ওপর গাড়ি রাখতে হয়। টার্মিনালগুলোতে সুবিধা বাড়ালে কেউ আর রাস্তার ওপর গাড়ি রাখবে না।

বেনাপোল বন্দর ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, বেনাপোল বন্দর ব্যস্ততম এলাকা। আবার জনবলও সংকট রয়েছে। এতে পুরোপুরিভাবে যানজট নিরসনে কাজ করতে সমস্যা দেখা দেয়।  

মহাসড়কের ওপর দীর্ঘক্ষণ পরিবহন অবস্থান করে যাতে বাণিজ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি না করতে পারে, এরজন্য সংশিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) ফিরোজ উদ্দিন।

বন্দর বাসটার্মিনালে যথেষ্ট জাইগা আছে জানিয়ে বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চালকরা সড়কের ওপর গাড়ি রেখে যানজট করে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এজেডএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।