ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিত্যনতুন পণ্যের সমাহারে জমজমাট বসুন্ধরা সিটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
নিত্যনতুন পণ্যের সমাহারে জমজমাট বসুন্ধরা সিটি পছন্দের পোশাক দেখছেন এক তরুণী। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: রোজা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে কেবল। এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা। রাজধানীর শপিং মল থেকে শুরু করে পাড়ার দর্জির দোকানেও বেড়ে গেছে ভিড়-ব্যস্ততা। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে বরাবরের মতো ক্রেতা সাধারণের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে অভিজাত বসুন্ধরা সিটি শপিং সেন্টার। পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে ঈদের সাজের যাবতীয় কেনাকাটার জন্য এ শপিং মলের দিকেই বলতে গেলে সবার নজর।

শনিবার (২৬ মে) শপিং সেন্টারটি ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা সাধারণের ভিড় সকাল থেকেই লেগে আছে। তবে দুপুরে খানিকটা কমে এলেও বিকেল হতে না হতে আবারও উপচেপড়া ভিড়।

মাঝ রমজানের আগেই যখন এই অবস্থা, তখন বোঝাই যায় ঈদ ঘনিয়ে এলে কী হবে, তিল ধারণের ঠাঁইও হয়তো থাকবে না।  

কেন এই ভিড়? ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপেই জানা গেলো সে কথা। একমাত্র এই সেন্টারেই রয়েছে যে কোনও ধরনের পণ্য-সামগ্রী। একজন ফ্যাশনেবল মানুষের যা চাই, তার সবকিছুর সমাহার বসুন্ধরা সিটিতে। হাতঘড়ি থেকে শুরু মাথার মুকুট পর্যন্ত, এমন কিছু নেই নেই যা এখানে পাওয়া যায় না। পছন্দের কেনাকাটা করতে একটি দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।  ছবি: জিএম মুজিবুরবিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে সবাই এনেছে নিত্যনতুন ডিজাইন আর রংয়ের পোশাক, ফ্যাশন সামগ্রী ও প্রসাধনী ইত্যাদি। ফলে ক্রেতাদের অন্য কোনও শপিং মলে গিয়ে ফিরে আসতে হলেও এখানে তারা আনন্দ নিয়ে করতে পারছেন কেনাকাটা। তারওপর রয়েছে স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে নিশ্চিত উপহার পাওয়ার সুযোগ। এক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা বা তার চেয়ে বেশি টাকার পণ্য কিনলেই দেওয়া হচ্ছে স্ক্র্যাচ কার্ড। যা ঘষলে করোলা ব্র্যান্ডের প্রাইভেটকার, ইয়ামাহা’র ১৫০ সিসি বাইক পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। এরইমধ্যে একজন কার্ড ঘষে জিতে নিয়েছেন একটি বাইকও।  

পুরান ঢাকার বাসিন্দা শিল্পি আক্তার এসেছেন কেনাকাটা করতে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘লেহেঙ্গা কিনবার আইছিলাম। কিনবার পারছি। অহন বহুত ভালা লাগতাছে। ’ অন্য শপিং মল থেকে পছন্দের জিনিস না পাওয়া এবং বসুন্ধরা সিটিতে পেয়ে যাওয়াই তার ‘বহুত ভালা’ লাগার অন্যতম কারণ। একটি উপহার পেয়েছেন, সেটা আবার তার আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে বহু।

ছবি: জিএম মুজিবুর
শিবলী রহমান মাসুদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বসুন্ধরা সিটি হচ্ছে একটি গোছানো, পরিপাটি শপিং সেন্টার। এখানে ভেতরে ঢুকলে একনজরে যেন পুরোটাই দেখে নেওয়া যায়, কোথায় কী আছে। ভেতরে ঘুরেও অনেক আনন্দ। আর প্রয়োজনীর পণ্যের জন্য এসে ফিরে গেছি, এমন কখনও হয়নি। তাই সবসময় এখান থেকেই কেনাকাটা করি।  

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করতে এখানে আসেন। অনেকের কাছেই ঈদ কেনাকাটা মানেই ‘বসুন্ধরা সিটি’।

কর্তৃপক্ষও তাই ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। এক লাখ ৩০ ‍হাজার উপহার সামগ্রী নিয়ে সাজিয়েছেন স্ক্র্যাচ কার্ড প্রোগ্রাম ‘বাজিমাত’। এই কর্মসূচিতে উপহার সামগ্রীর মধ্যে করোলা প্রাইভেটকার ও ইয়ামাহা মোটরবাইক ছাড়াও রয়েছে থাইল্যান্ড ভ্রমণের (যুগল) সুযোগ, হাতঘড়ি, ফ্রিজ (মিনিস্টার), এলইডি টিভি (৩২ ইঞ্চি), ডায়মন্ড রিং, স্মার্টফোন, ব্লেন্ডার মেশিন, রাইস কুকার, ইলেকট্রিক আয়রন, কফি মগ, ২ হাজার ৫০ টাকার টগি ওয়ার্ল্ড গিফট কুপন, বসুন্ধরা টিস্যু ভ্যালু প্যাক, বসুন্ধরা ফুড ভ্যালু প্যাক, বসুন্ধরা নুডলস ও ১’শ টাকা মূল্যের প্রাইজবন্ড প্রভৃতি।

কর্তৃপক্ষের আশাবাদ, এবার ঈদে কেনাকাটার জন্য দেড় কোটির বেশি ক্রতার সমাগম ঘটবে বসুন্ধরা সিটি শপিং সেন্টারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।