সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই গার্মেন্টসগুলোতে যেতে দেখা যায় কর্মীদের। রাজধানীর মিরপুর এলাকায় কিছু গার্মেন্টস বন্ধ থাকলেও মাঝারি ও বৃহৎ আকারের ফ্যাক্টরিগুলোর বেশিরভাগেই ছিল কর্মীদের উপস্থিতি।
মিরপুর ১১ নম্বরের একটি গার্মেন্টসের অপারেটর আবদুল মজিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালিকপক্ষকে আমাদের নির্ধারিত বেতন ও মজুরি দিতে বলেছেন। আশা করছি এটা দ্রুত কার্যকর হবে। তাই কাজে আসলাম।
তবে অনেকের মধ্যেই আছে মজুরি হারানোর ভীতি। কালশী রোডের একটি কারখানার সুপারভাইজার আশরাফ আলী বলেন, বড় স্যার ফোন দিছে। বলছে আজ কাজে না আসলে গত মাসের বেতন দেবে না। নতুন বেতন নিতে গিয়ে পুরোনোটা হারানোর মতো অবস্থা। তাই আজ ফ্লোরের সবাইকে বলেছি কাজে আসতে। আমিও এসেছি।
শ্রমিকদের কাজে আসার বিষয়ে মালিক বা শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এখনও কোন বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং এই খাতে স্থিতি ফিরে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ কে আর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সদস্য এম রহমান রানা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সবার গার্মেন্টসে সমস্যা ছিল বিষয় কিন্তু এমন না। যেমন আমাদের বেনেক্স এপারেল এবং এ কে আর ফ্যাশন লিমিটেডে কোনো শ্রমিক অসন্তোষ ছিল না। তবুও শ্রমিক আন্দোলনের মুখে আমাদের শ্রমিকদেরও কাজ থেকে বিরত রাখা হয়। কিছু সমস্যার কারণে সবাইকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হযেছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এই খাতের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বিষয়টি আমি ইতিবাচক মনে করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এসএইচএস/আরআর