শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণও বেশি দেখা গেছে। যেমন মেলায় দেশীয় কেপিএল গ্রুপ সব ধরনের গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্য প্রদর্শন করছে।
একইভাবে খান ব্রাদার্স প্লাস্টিকের ব্যাগ প্রদর্শন করছে। সব ধরনের চিনি, সার, বিষ ও পোল্ট্রি ফিডের ব্যাগ প্রদর্শন করছে।
অন্যদিকে মেশিনারিজ পণ্য প্রদর্শনে এগিয়ে বিদেশি কোম্পানিগুলো। মেলায় চায়না কোম্পানি ‘হাইটিয়ান মার্স’ নামে প্লাস্টিক পণ্য তৈরির মেশিন প্রদর্শন করছে। মেশিনের মাধ্যমে চোখের সামনেই তৈরি হচ্ছে গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্য। মিনিটে চারটি পণ্য তৈরি করা হচ্ছে। বিশাল আকৃতির মেশিনের দাম হাঁকা হচ্ছে ৩০ হাজার ডলার। প্রতি ডলার সমান ৮৩ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
‘হাইটিয়ান মার্স’ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির সহকারী সেলস ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল আহমেদ বলেন, মেলায় আমাদের ‘হাইটিয়ান মার্স’ মেশিনের চাহিদা অনেক বেশি। অনেক প্লাস্টিক কারখানা থেকে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি।
প্লাস্টিক মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ১৯টি দেশ অংশ নিয়েছে। এতে ৪৮০টি কোম্পানির মোট ৭৮০টি স্টল রয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। কোম্পানির গ্রোথ বেড়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অন্য দেশগুলো হলো-অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, চায়না, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনাম।
প্লাস্টিক পণ্যগুলো তুলে ধরতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখন দেশে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে মোট ২৫ হজার কোটি টাকার। এর মধ্য থেকে সরকার ৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার রাজস্ব পায়। এ খাতে মোট ১২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান রযেছে। সারা বিশ্বে প্লাস্টিক খাতের বাজার ৫৪৬ বিলিয়ন ডলারের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমআইএস/আরআর