ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সংস্কার হবে সারাদেশের পুরাতন মন্দির

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৯
সংস্কার হবে সারাদেশের পুরাতন মন্দির সনাতন ধর্মালম্বীদের মঠ

ঢাকা: সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সারাদেশের দেশে পুরাতন মন্দিরের সংখ্যা ১ হাজার ৮১২টি। ২২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মন্দিরগুলো সংস্কারের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ সনাতন ধর্মালম্বী উপকৃত হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

‘সমগ্রদেশে সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্পে’র আওতায় দুটি জিপ, দুটি পিকআপ, কম্পিউটার, অফিস সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কেনা হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, মন্দির সংস্কার বিষয়ক প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। সারাদেশের কিছু কিছু পুরাতন মন্দির আছে সেইগুলো আমরা এই প্রকল্পের আওতায় সংস্কার করবো। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২২৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় সকল পুরাতন মন্দির সংস্কার করা সম্ভব হবে না। তবে কিছু কিছু পুরাতন মন্দির সংস্কার করতে পারবো।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যের আলোকে দেশে হিন্দু ধর্মালম্বীর সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লাখ, ‍যা দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। দেশের হিন্দু জনসাধারণের ধর্মীয় কল্যাণ সাধন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা রক্ষার্থে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট মঠ, মন্দ্রির, আশ্রম, তীর্থস্থান, শ্মশানের উন্নয়নে এর আগে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সমগ্র দেশে বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো মন্দির ধ্বংস করে। অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে হিন্দু সংস্কৃতি ও মন্দিরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ। সেই লক্ষ্যে পুরাতন মন্দিরগুলো চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর মেয়াদে সংস্কার করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।