কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬শ ৯০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, রমজান মাসে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে নিত্যপণ্য আমদানি আরও বাড়বে মার্চ ও এপ্রিল মাসে।
তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার অতিরিক্ত আরও পণ্যের প্রয়োজন হবে। তখন আমদানি আরও বাড়বে।
এদিকে ছলতি অর্থবছরের নয় মাসে কয়লা, ক্লিংকার, স্ক্রাপ জাহাজ আমদানি একলাফে ৩৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৮ কোটি ডলারে। যা আগের অর্থবছরের (২০১৭-১৮) একই সময়ে ছিল ২৫৬ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি, নিত্যপণ্যসহ সার্বিকভাবে আমদানি ব্যয় পরিশোধ বেড়েছে।
এছাড়াও মেগা প্রকল্প, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমদানি ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে।
অধিক পরিমাণে জ্বালানি তেল আমদানি ব্যয় পরিশোধ করার কারণে সার্বিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়েছে বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরেই তরলী করা প্রাকৃতিক গ্যাসসহ (এলএনজি) পণ্য আমদানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক শূন্য ৮০ শতাংশ। এতে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ২৬১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৯৩ কোটি ডলার।
বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়মিত রাখতে আগামিতে জ্বালানি তেল আমদানি আরও বাড়তে পারে বলেও আভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মূলধন যন্ত্রপাতি বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপকরণ আমদানি কমেছে ৭ শতাংশের বেশি। অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এসব যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৩২৫ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময় এসব পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ৩৫০ কোটি ডলার।
তবে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩শ ১৮ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ১শ ৮০ কোটি ডলার।
অন্যদিকে খাদ্যপণ্য, চাল ও গম আমদানি কমেছে ৫৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। খাদ্যপণ্য আমদানি ব্যয় ২২১ কোটি ডলার থেকে ৯২ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
তবে ভোগ্যপণ্য আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৬৩ কোটি ডলারে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫৩০ কোটি ডলার।
অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আমদানির ঋণপত্র খোলা ২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯২৭ কোটি ডলারে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ২০ কোটি ডলার।
জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, রেমিটেন্স আগের চেয়ে বাড়লেও আমদানি ব্যয় বেড়েছে অনেক বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
এসই/এএ